মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে গত দুইদিনের অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বিভিন্ন হাওর প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে যদি আরও কয়েকদিন বৃষ্টি হলে বন্যার আশংক করেছেন উপজেলাবাসী। পুরো উপজেলার জন জীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। ঢানা বর্ষণের ফলে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দূর্ভোগে এবং দিনমজুরি অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এখনও উপজেলায় কোথাও প্লাবিত হয়নি খবর পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের পর বিশ্বনাথে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। গত দুইদিন ধরে দিনভর বৃষ্টিপাতে স্বস্তি পেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় উপজেলাবাসীকে। টানা বৃষ্টির কারনে ভোগান্তিতে নাকাল উপজেলাবাসী। শ্রাবণের দিনভর বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলেও নাজেহাল উপজেলার মানুষ। এতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী-পথচারী, ব্যবসায়ী, অফিসগামী মানুষকে চরম বিপাকে পড়তে হয়। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
(২৫ জুলাই) বুধবার বিকেল ৫টায় হঠাৎ বৃষ্টি নামে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে উপজেলা সদরসহ আশাপাশ এলাকার লোকজন ও অফিসগামী মানুষকে। বুধবার ছিল বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন-পুরান বাজারে হাট। হঠাৎ বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা পড়েন বিপাকে। অনেকেই বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নেন বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে। উপজেলা সদরের ব্যাটারী চালিত রিকশা চালকদের বৃষ্টিতে ভিজে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায়। বৃষ্টির নামের পরপরই উপজেলা সদরে ব্যাটারী চালিত রিকশা সংখ্যা কমে যায়। এতে অনেকেই বিকেলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন বিপাকে। অনেককে আবার বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটে ছুটতে দেখা গেছে। আবার কেউ কেউ ছাতা ক্রয় করতে দেখা যায়। এরির্পোট বুধবার রাত ৮টায় লেখা পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
Sharing is caring!