সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: বিকাশে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সুনামগঞ্জের দোয়রাবাজারে প্রধান শিক্ষিকা খুইয়েছেন অর্ধ লক্ষ টাকা। বুধবার রোকশনা বেগম নামের দোয়ারাবাজারের রজনী সুগন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে তিনি খুঁইয়েছেন ৫২ হাজার ৫ ’শ ৫৫ টাকা।’
ওই শিক্ষিকার বাড়ি উপজেলার দোহালীয়া ইউনিয়নের চৌমোহনা গ্রামে। তিনি পার্শ্ববর্তী রজনি সুগন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতারণার শিকার প্রধান শিক্ষিকা রোকশানা বেগম বুধবার রাতে জানান, ‘আমার ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে প্রথমে ৮১৮১ থেকে একটি ম্যাসেজ আসে আমার মোবাইল নাম্বারে ১৫ হাজার টাকার একটি লটারি লাগছে এমনকি আমি এই ব্যালেন্স থেকে কথাও বলতে পারব, আমি তা ব্যাবহার করেও দেখেছি তাদের কথাবার্তা ঠিক আছে। পরে ০১৮৬৩- ৩৫৭ ৯৫০ এই নাম্বার থেকে ফোন করে বলে আমি রবি কোম্পানি থেকে বলছি, আপনি ভাগ্যবান, আপনার নামে রবি কোম্পানির লটারিতে ৩২ লক্ষ টাকার একটি মার্সিটিজ গাড়ি লেগেছে। আপনি গাড়িটি পেতে হলে আমাদের কোম্পানির ভ্যাট ১% আর ৬৪ জেলার জন্য আপনাকে ৬৪ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হবে।’ তারা আরো বলে- ‘আপনি সকাল সকাল আমাদের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে হবে।’
শিক্ষিকা জানান, আমার মোবাইল নাম্বারে কোন দিন কত টাকা রিচার্জ করা হয়েছে এবং বর্তমান ব্যালেন্সে কত আছে, ইন্টানেটের ব্যালেন্স কত এমভি আছে সব কিছু বলে দেয়ার পর আমি তাদের কথা বিশ্বাস করি এবং লটারির গাড়ি পাওয়ার আশায় টাকা পাঠাই।
এরপর বুধবার সকাল থেকে আমি নির্দেশনা মোতাবেক এক দোকান থেকে টাকা না পাঠিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচটি রবি নাম্বারে মোট ৫২ হাজার ৫ শত ৫৫ টাকা পাঠাই।
এদিকে ৫২,৫৫৫ টাকা পাঠানোর পর আরো ১৫ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশের দোকানে গেলে স্থানীয় একজন সাংবাদিক এত টাকা কার কাছে পাঠাচ্ছেন জানতে চান শিক্ষিকার নিকট?। এরই মধ্যে শিক্ষিকার কানে লাগানো মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা প্রতারক চক্রের কানে সাংবাদিকের কথার আওয়াজ গেলে সে প্রতারক শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করে কে কথা বলছে?। উত্তরে শিক্ষিকা যখন সাংবাদিকের পরিচয় বলেন তখনই ফোন কল কেটে দিয়ে ফোনের সুইচ অফ করে দেয় ওই প্রতারক।’ পরে বারবার ওই নাম্বারসহ টাকা পাঠানো সব নাম্বারে কল দিলেও সবকটা নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।’
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাস বুধবার রাতে বলেন, ‘ যেহেতু একজন শিক্ষিকা প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে তাদের কথামত এতগুলো টাকা পাঠিয়েছেন, সেক্ষেত্রে আমরা সেই সব নাম্বারের খোঁজখবর নিয়ে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd