বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার রহমান নগর গ্রামের ৬০ জনের স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিটি গত ১৬ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার’র কাছে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (২য় পর্যায়ে) রামপাশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওতাধীন রহমান নগর গ্রামের কদর আলীর বাড়ি হইতে রোশন আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ২লাখ ৮হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়। কিন্ত উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৬জন শ্রমিক নিয়োগের কথা থাকলেও স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে ও দুর্ণীতির মাধ্যমে ৭কর্ম দিবসে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে মাত্র ১৭হাজার টাকার কাজ করেন এবং প্রকল্পের বাকী টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। শ্রমিক হিসেবে রহমান নগর গ্রামের মুনসুর আলী, ইলিয়াস আলী, তারেক আহমদ ও আব্দুল্লাহ গংরা কাজ করলেও তাদের নামে ব্যাংক একাউন্ট করানো হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হলেও এব্যাপারে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। তাই উক্ত প্রকল্পের আত্মসাৎকৃত সরকারি অর্থ উদ্ধার করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্মারকলিপিতে আবেদন জানানো হয়।
ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, আমি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার পর পিআইও অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ তা পরিদর্শন করেন এবং তুলনামূলকভাবে কাজ কিছুটা কম হওয়ায় প্রকল্পের ২লাখ ৮হাজার টাকা থেকে ২৬হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, রহমান নগর গ্রামের রুশন আলী আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং আমি তাকে চাঁদা না দেওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, অভিযোগ তদন্তাধিন রয়েছে। তদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর আইনুনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Sharing is caring!