গোয়াইনঘাটে বেপরোয়া গরু চোর সিন্ডিকেট : প্রশাসন নিরব

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০১৮

গোয়াইনঘাটে বেপরোয়া গরু চোর সিন্ডিকেট : প্রশাসন নিরব

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। চলতি মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে।

গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নম্বরবিহীন ট্রাক, চাঁদের গাড়ি, পিকাপ, সিএনজি,নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না। ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

পুলিশের নজরদারির অভাব আর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অনেকের অভিযোগ। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে।

পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন এর ইসলামাবাদের এক ব্যবসায়ী জামিল আহমদ বলেন, প্রতি রাতে গরু ঘরে চোরের দল হানা দিয়ে থাকে। যাদের গরু আছে তারা রাত জেগে পাহারা দেয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আইডর গ্রামে নৌকা নিয়ে গরু চুরি করতে গেলে এলাকার মানুষের তাড়া খেয়ে নৌকা ও ২ টি মোবাইল রেখে পালিয়ে যায়। ওই মোবাইল গুলো হলো দোয়ারীখেলের আছদ্দর ও গোরচির মাসুকের। বর্তমানে নৌকা মোবাইল গোয়াইনঘাট থানায় আটক আছে বলে জানা গেছে।
এলাকার মানুষ গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের খরচের টাকা যোগায়। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্র এসব পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে।

ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যক্তি জানান, গরুর ঘর থেকে রশি কেটে অথবা খুলে গরু গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। রাতে গাড়ির ভেতরে গরু দেখলে আটক করতে ভয় পায় জনতা। কারণ পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে কাউকে আটক করা হয় না। যে কারণে সহজে পার পেয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল।

গত কয়েক মাস ধরে পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় অর্ধশত গরু চুরি হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে মধ্য ৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ৪ টি গরু, পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনরতল গ্রামের আহমদ আলীর ২টি, মৃত নূরুছাপার ২টি, মো. লেদুর ২টি এবং ইয়াছিনের মায়ের ২টি।

গরু চুরি বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল বলেন, থানায় গরু চুরির কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..