মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: দীর্ঘদিন পর সিলেটের বিশ্বনাথ ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ভেঙে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। নেতৃত্ব পেতে মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ছাত্রদল ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছেও নিজেদের অবস্থার তুলে ধরতে সচেষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা নিয়মিতভাবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন গুরুত্ব দিয়ে। ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা এলাকা আসলে তার সঙ্গে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হতে দেখা যায়। উপজেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি যে কোনো দিন ঘোষনা করা হবে বলে একাধিক সূত্র জানায়। ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও আগামী দিনের আন্দোলন কে সামনে রেখে ঢেলে সাজানোর জন্য ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে দলের একাধিক নেতা জানান। উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে ছাত্রদল।
জেলা ও উপজেলা ছাত্রদলের একাধিক সূত্রে জানিয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ইতি মধ্যে সিলেট জেলা ছাত্রদল বিভিন্ন ইউনিটিরে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে বিশ্বনাথ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন শীঘ্রই উপজেলা ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছে। তবে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনার বিষয় কারা আসছেন নেতৃত্বে? তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে অল্প কয়েকটি নামই এসেছে ঘুরেফিরে।
আহবায়ক কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। কিন্তু প্রায় সাড়ে ৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই আহবায়ক কমিটি দিয়েই খুঁড়িয়ে চলছে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় বর্তমানে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের একধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা। তবে এবার নতুন কমিটি গঠন হলে বিশ্বনাথে ছাত্রদল আরও চাঙ্গা হবে বলে তৃনমূল নেতাকর্মীরা জানান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ২২ ডিসেম্বর বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির গঠন করা হয়। মতিউর রহমান সুমনকে আহবায়ক ও প্রথম সদস্য আলাল আহমদকে করে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোধন দেয় সিলেট জেলা ছাত্রদল। এই কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। এ সময়ের মধ্যেই সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার দায়িত্ব ছিল আহবায়ক কমিটির। কিন্তু ৩ মাসের স্থলে প্রায় সাড়ে ৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্মেলনের মুখ দেখেননি উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিও তাই ঘোষিত হয়নি। উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠনের পরপরই ছাত্রদল দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর সংর্ঘষ-মামলার ঘটনাও ঘটে। এরকিছু দিন পর কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে ছাত্রদল। বর্তমানে চার বিভাগে বিভক্ত রয়েছে বিশ্বনাথ ছাত্রদল।
দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছরেও সম্মেলন না হওয়ায় এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত না হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। হতাশায় ভোগছেন নেতাকর্মীরা। অনেকেই আবার ক্ষুব্দ। তবে খুবই শীঘ্রই ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হচ্ছে এমন আভাস দলীয় নেতাকর্মীর কাছে পৌছলে, তারা দলীয় পদ-পদবি পেতে লবিং শুরু করেছেন বলে একাধিক ছাত্রদল নেতা জানান।
জানা গেছে, উপজেলা কমিটিতে পদপ্রত্যাশীরা শোডাউন, মতবিনিময় ইত্যাদি করলেও কমিটি নির্ধারিত হবে মূলত লবিং আর গ্রুপিংয়ের জোরেই। জেলা ছাত্রদল, বিএনপি বিভিন্ন প্রভাব মিলিয়ে প্রায় সব গ্রুপের নেতারা কমিটিতে থাকার চেষ্টা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের সাবেক কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন হলে শেষ পর্যন্ত সমঝোতার কমিটি হবে। সকল গ্রুপের নেতাদের কমিটিতে স্থান দেয়া হতে পারে।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা জানান, আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলন যাদের পাওয়া যাবে, এমন নেতাকর্মী দিয়ে ছাত্রদলের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। তবে নতুন কমিটি হলে তৃণমূল নেতাকর্মীর মতামত নিয়ে কমিটি গঠন করার আহবান জানান। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজের’ পর বিশ্বনাথে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলা-জেল-জুলুমের নির্যাতিত নেতাদের নিয়ে এসব কমিটি গঠন করার জন্য ইলিয়াসপত্নীর প্রতি অনুরোধ জানান। ইলিয়াস ‘নিখোঁজ’ ও সরকার পতনের আন্দোলনে যাতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে তাদের দিয়েই কমিটি যান নেতাকর্মীরা।
উপজেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি শীঘ্রই হতে যাচ্ছে এমন খবরে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা ছাত্রদল। কমিটি গঠন হওয়ার আশংকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য। আর এ কমিটিতে স্থান পেতে অ’ছাত্ররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশে ছাত্রদল নেতাকর্মী এবং অ’ছাত্ররা ছাত্রদল দাবি করে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে নিয়মিত। কমিটিতে ভাল পদ পেতে উচ্চতর নেতাদের নিকট তদবীর আর দৌড়াঝাপে তারা রয়েছেন ব্যস্ত।
কিন্তু কে আসবেন ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে। কে হবেন সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক। ইতিমধ্যে এনিয়ে তাদের দলের মধ্যে প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। নেতৃত্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে অনেক মেধাবী ছাত্রনেতারা উর্ধ্বতন নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ছাত্রদের সাথে তাল মিলিয়ে সভাপতি ও সম্পাদক হওয়ার আশায় জোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অ’ছাত্ররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে পদ-পদবির লড়াই।
এ পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন, উপজেলা ছাত্রদলের বর্তমান আহবায়ক মতিউর রহমান সুমন, সদস্য আলাল আহমদ, আবদুর রহমান খালেদ, শেখ ফরিদ, শাহ আমির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে ইমরান আহমদ সুমন, রুহেল আহমদ কালু, জুনেদ আহমদ, ফাহিম আহমদ, আবদুল বাছির, সুজেল আহমদ,হাজী শেখ আবদুস শহিদ আলেক্স, দিলোয়ার হোসেন সজিব। তবে এদের মধ্যে অনেকের ছাত্রত্ব নেই।
এদিকে, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক একে রাজু কে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে দেখতে চাই এমন স্লোগান দিয়ে তারা অনুসারী নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করতে দেখা যায়।
সূত্র জানায়, ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে কারা আসছেন এমন খবর দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত রয়েছেন। অছাত্র, বিবাহিত, দলের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে এমন নেতাদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ফলে মামলা-হামলা-নির্যাতিত নেতারা বাদ পড়ছেন। এনিয়ে উপজেলা ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে কানাঘোষা করতে শুনা যায়।
ছাত্রদল নেতারা জানান, ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর যারা হামলা-মামলার ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। এমন কমিটি গঠিত হউক যাতে আগামী সকল আন্দোলন সংগ্রামে কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারা, যাতে মাঠে সরব উপস্থিত লক্ষ করা যায়। আদুভাই, অছাত্র ও বিবাহিত নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলে এর কেসারত দিতে হবে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রদল নেতা জানান, উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে একদিকে যেমন সিলেট জেলা ছাত্রদল কাজ করছে তেমনি স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। পছন্দের প্রার্থীদের পদ পাইয়ে দিতে সবাই কমবেশি ব্যস্ত থাকবেন। তবে যাদের ছাত্রত্ব নেই কিংবা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় এমন কমিটি গঠন না করার জন্য জেলা ছাত্রদলের নেতাদের প্রতি তারা আহবান জানান।
ছাত্রদলের তৃলমূল জানান, সম্মেলন হলে তৃণমূলের কর্মীদের মতামতের প্রতিফলন ঘটত। তবে যেভাবেই কমিটি হোক যোগ্য নেতারাই দায়িত্ব পাবেন আশা করি। সংগঠনকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন-এমন নেতৃত্ব না হলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা খুবই জরুরী। তবে খুব শীঘ্রই ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হবে বলে শুনা যাচ্ছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমরান আহমদ সুমন বলেন, নির্যাতিত নেতাদের দিয়েই ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে বলে আশাবাদি। যাদের আন্দোলন সংগ্রাম পাওয়া যাবে তাদের দিয়েই যেন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন নেতৃত্ব আসলে ইলিয়াসপত্নী লুনা (ম্যাডামের) হাত আরও শক্তিশালী হবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ওই কমিটি অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সভাপতি পদপ্রার্থী শাহ আমির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে ছাত্রদল এখন কিছুটা ঝিমিয়ে রয়েছে। তবে নতুন কমিটি গঠন করা হলে ছাত্রদল ফের চাঙ্গা হবে। নতুন নেতৃত্ব আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ইলিয়াস সন্ধান আন্দোলন বেগবান হবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা (ম্যাডাম) কে নির্বাচিত করতে সহজ হবে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সভাপতি পদপ্রার্থী শেখ ফরিদ বলেন, নতুন কমিটি গঠিত হলে ছাত্রদল আরও সুসংগঠিত হবে। ত্যাগী নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করার আহবান জানান তিনি। নতুন নেতৃত্ব আসলে সরকার পতন ও কোটি মানুষের নেতা ইলিয়াস আলী সন্ধান আন্দোলন ও ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা (ম্যাডাম) এর হাত আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সভাপতি পদপ্রার্থী আবদুর রহমান খালেদ বলেন, অতীতে ও আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের অগ্রনী ভূমিকা থাকবে তাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হবে বলে আমি আশাবাদি। উপজেলা ছাত্রদলের সকলকে গ্রপিংয়ে না জড়িয়ে এক সাথে সকলে দলের পক্ষ কাজ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলিয়াসপত্নী লুনা (ম্যাডাম) এর হাতকে আরও শক্তিশালী ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানান। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর যারা হামলা-মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাদের দিয়েই যেন কমিটি গঠন করার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও সভাপতি পদপ্রার্থী মতিউর রহমান সুমন বলেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানে বিশ্বনাথ ছাত্রদল অনেক শক্তিশালী। জেলা ছাত্রদল চাইলেই উপজেলা ছাত্রদলের সম্মেলন করতে পারে। এজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। দলীয় গ্রপিংয়ের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রদল একটি বড় সংগঠন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা মতপ্রার্থক্য থাকতে পারে। নতুন নেতৃত্ব আসলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ইলিয়াস সন্ধান আন্দোলন বেগবান হবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা (ম্যাডাম) কে নির্বাচিত করতে সহজ হবে।
এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রদলের নব-গঠিত কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক তানিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের ছাত্রদলের অনেক পরিশ্রমী নেতা রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত জেলা ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে তৎপর রয়েছেন। তবে বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর থেকে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পেতে হলে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনা (ম্যাডাম) নির্দেশনায় ওই দুটি উপজেলার নেতারা উপজেলা ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে পারেন।
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার সাংবাদিকদের বলেন, পদ প্রত্যাশীদের তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিসিক নির্বাচনের পরপরই জেলার প্রতিটি উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনা করা হবে। ত্যাগী ও প্রকৃত ছাত্রদের দিয়ে সিলেট উপজেলা ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি চলছে। কমিটিতে ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাদের দিয়েই উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠিত হবে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!