মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: জুড়ি উপজেলা ছাত্রদল নেতা জামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে ঘড়ের কাজের মহিলার ১৫ বছরের কিশোরী মেয়েকে প্রথমে জুড় করে ও পরে বিয়ের প্রলোভনে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়াগেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, জুরী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার বাড়িতে প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজের মহিলা হিসেবে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছেন হত দরিদ্র হাজেরা বেগম। হাজেরা বেগমের এক ছেলে ও তিন মেয়ে যাদের মধ্যে দুজন বিবাহিতা একজন স্থানীয় সাগরনাল সিনিয়র মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমা। ছেলে কর্মচারী হিসেবে একটি মুদির দোকানে কর্মরত।হাজেরা বেগম জানান,তিনি আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘ দিন থেকে গৃহপরিচারিকার কাজের সুবাদে অবাদে তার বাড়িতে যাতায়াত করত আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার ছেলে জুড়ী উপজেলা ছাত্রদল নেতা জামাল মিয়া(২২),এতে করে তার মেয়ে সুমা বেগম (১৫) এর সাথে কৌশলে সখ্যতা গড়ে তুলে লম্পট জামাল মিয়া। এই সখ্যতাকে ধীরে ধীরে আরো ঘনিষ্ঠ করতে অবুঝ মেয়েকে প্রথমে জুড় করে ও পরে বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে বিয়ের কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার জীবনের চরম সর্বনাশ করে।হাজেরা বেগম এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন,তিনি প্রায় সারাদিন জামালদের বাড়িতে থাকতেন সেই সুযোগকে কাজে লাগায় জামাল।যখন তিনি তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করে মেয়েকে (সুমা) জিজ্ঞেস করেন এই ঘটনা কি ভাবে ঘটল তখন সুমা প্রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্বা ছিল, হাজেরা বেগম সুমার কাছে জানতে চাইলে সে বলে এই ঘটনার জন্য দায়ী আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার ছেলে জামাল।
হাজেরা বেগম এই কথা শুনার পর দিশেহারা হয়ে জামালের মা হাওয়া বেগম (৪৬) কে বিষয়টি অবগত করে বলেন এখন “আমার মেয়ের কি হবে” তখন জামালের মা বলেন যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে সুমাকে তিনি জামালের বউ হিসেবে ঘড়ে তুলবেন।এই কথা বলার পর প্রায় এক মাস পর জামালের চাচি স্বপ্না বেগম (৪০) অন্তঃসত্বা সুমাকে নিয়ে প্রথমে ব্রাম্মনবাজারে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান সেখানে তাকে পরীক্ষা করার পর পরীক্ষায় ধরা পরে সুমা অন্তঃসত্বা। এর পর জামালের চাচি বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হন,কারন তখন গর্ভপাত করারমত সুযোগ ছিলনা সুমা তখন ৭ মাসের গর্ভবতী তার পেটে তখন পরিপূর্ণ বাচ্চা।এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে জামালের দাদার বাড়িতে একটি ঘরোয়া সালিশের আয়োজন করেন জামালের মা, সেখানে চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন,সেই সালিশে জামাল উক্ত সম্পর্কে অস্বীকার করে সকলের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলে তার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র। সেখানে বিচার না পেয়ে সুমার মা হাজেরা বেগম বাদী হয়ে গত ১৫জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল,মৌলভীবাজারের বরাবর একটি পিটিশন মামলা করেন যার নাম্বার-২২৮/১৮, যা এখনও তদন্তনাধিন।
অন্যদিকে সুমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ১৭জুলাই প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) নিয়ে যাওয়া হয়, ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল কতৃপক্ষ সুমার সকল কথা শুনে তার কথা অনুযায়ী ধর্ষণের ফলে ৭ (সাত) মাসের গর্ভধারণ উল্লেখ করে ঐ দিন (১৭ জুলাই) জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারি পরিক্ষার প্রয়োজন উল্লেখপূর্বক মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুমার মা হাজেরা বেগম সে দিন গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পের সাথে সাথে না এসে একদিন পর ১৯জুলাই মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। চিকিৎসারত অবস্থায় ছয়দিন পর সুমা একটি পুত্র সন্তানের জন্মদেন,বাচ্চাটি জন্মের প্রায় দুই ঘণ্টা পর মারা যায়।
ভুক্তভোগী সুমার সাথে আলাপকালে সুমা জানান,তার মা দীর্ঘ দিন যাবত আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন সেই সুবাদে তার ছেলে জামাল মিয়া প্রায় তার (সুমা) সাথে ডং তামাশা করত। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করতেননা। এমতাবস্থায় গত ১৫/১০/২০১৭ ইং তারিখে তার মা অসুস্থ থাকায় তার মায়ের বদলে সুমা নিজে কাজ করতে যান জামালদের বাড়িতে। কাজের এক ফাঁকে জামালের মা ঘড়ের বাইরে চলেযান,সেই সময় ঘড় ফাঁকা পেয়ে জামাল তাকে ঝাপটে ধরে জোর করে ধর্ষণ করে,এরপর তাকে হুমকি দিয়ে প্রভাবশালী জামাল বলে যদি এই কথা কাউকে জানায় তাহলে সুমার পরিবারকে সে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে।তখন ভয় পেয়ে সুমা এই কথা কাউকে জানাননি এর পর জামাল তাকে বলে যেহেতু তুমার (সুমা) সাথে সবকাজ শেষ এখন আর দূরে থেকে লাভ কি,আমি তুমাকে বিয়ে করব বলে প্রলোভন দেয় এবং সুমাও নিজের সবকিছুর বিনিময়ে নিজের একটি সাজানো সংসারের আশায় জামালের প্রলোভনে পরে দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন বলে জানান সুমা।
সুমা আরো জানান,এর পর গর্ভাবস্থায় জামালকে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে টালবাহানা শুরু করে এবং বাচ্চা নষ্ট (গর্ভপাত) করানোর জন্য তার চাচিকে দিয়ে বিভিন্ন জাগায় নিয়ে যান কিন্তু বাচ্চা পূর্ণ হওয়াতে নষ্ট করা সম্ভব হয়নি। এরপর বিষয়টি সবদিকে জানাজানি হলে তাকে (সুমা) প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে তারা (জামালের পরিবার) শারীরিক নির্যাতন করেন। এখন তিনি কি চান এমন প্রশ্নের জবাবে সুমা জানান,যে তার জীবন নষ্ট করেছে, যার কারণে সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়া একটি বাচ্চার মা হয়েছেন সেই জামালের স্ত্রী হিসেবে সারাজীবন কাটাতে নতুবা তার মরণ ছাড়া কোন উপায় নাই।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে ৬ নং সাগরনাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম চৌঃ (লিয়াকত) এর সাথে মুটফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন, তিনি সহ কয়েকজন মেম্বার (সদস্য) কে সাথে নিয়ে মেয়েটি (সুমা) কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাতে সুমা জামালের কথাই বলে। কিন্তু জামাল বিষয়টি অস্বীকার করে, তাই বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদেরকে আদালতের সাহায্য নিতে বলে দিয়েছেন।
বিষয়টি জানতে জামালের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে না পেয়ে তার (জামাল) বাবা আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তার এক কথিত ভাতিজা সামসুদ্দীন বলেন,এই বিষয়টা আপনারা চেয়ারম্যান মেম্বার কে জিজ্ঞেস করুন এটা জামালের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ষড়যন্ত্র। এখন বিষয়টি আইনের আওতায় গেছে, আইনে যদি জামাল মিয়া দুষি হয় তাহলে আইনে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মাথা পেতে নিবে জামাল।
অন্যদিকে সুমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ১৭জুলাই প্রথমে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি) নিয়ে যাওয়া হয়, ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল কতৃপক্ষ সুমার সকল কথা শুনে তার কথা অনুযায়ী ধর্ষণের ফলে ৭ (সাত) মাসের গর্ভধারণ উল্লেখ করে ঐ দিন (১৭ জুলাই) জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারি পরিক্ষার প্রয়োজন উল্লেখপূর্বক মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুমার মা হাজেরা বেগম সে দিন গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পের সাথে সাথে না এসে একদিন পর ১৯জুলাই মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এবং চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। চিকিৎসারত অবস্থায় ছয়দিন পর সুমা একটি পুত্র সন্তানের জন্মদেন,বাচ্চাটি জন্মের প্রায় দুই ঘণ্টা পর মারা যায়।
ভুক্তভোগী সুমার সাথে আলাপকালে সুমা জানান,তার মা দীর্ঘ দিন যাবত আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন সেই সুবাদে তার ছেলে জামাল মিয়া প্রায় তার (সুমা) সাথে ডং তামাশা করত। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করতেননা। এমতাবস্থায় গত ১৫/১০/২০১৭ ইং তারিখে তার মা অসুস্থ থাকায় তার মায়ের বদলে সুমা নিজে কাজ করতে যান জামালদের বাড়িতে। কাজের এক ফাঁকে জামালের মা ঘড়ের বাইরে চলেযান,সেই সময় ঘড় ফাঁকা পেয়ে জামাল তাকে ঝাপটে ধরে জোর করে ধর্ষণ করে,এরপর তাকে হুমকি দিয়ে প্রভাবশালী জামাল বলে যদি এই কথা কাউকে জানায় তাহলে সুমার পরিবারকে সে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে।তখন ভয় পেয়ে সুমা এই কথা কাউকে জানাননি এর পর জামাল তাকে বলে যেহেতু তুমার (সুমা) সাথে সবকাজ শেষ এখন আর দূরে থেকে লাভ কি,আমি তুমাকে বিয়ে করব বলে প্রলোভন দেয় এবং সুমাও নিজের সবকিছুর বিনিময়ে নিজের একটি সাজানো সংসারের আশায় জামালের প্রলোভনে পরে দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন বলে জানান সুমা।
সুমা আরো জানান,এর পর গর্ভাবস্থায় জামালকে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে টালবাহানা শুরু করে এবং বাচ্চা নষ্ট (গর্ভপাত) করানোর জন্য তার চাচিকে দিয়ে বিভিন্ন জাগায় নিয়ে যান কিন্তু বাচ্চা পূর্ণ হওয়াতে নষ্ট করা সম্ভব হয়নি। এরপর বিষয়টি সবদিকে জানাজানি হলে তাকে (সুমা) প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে তারা (জামালের পরিবার) শারীরিক নির্যাতন করেন। এখন তিনি কি চান এমন প্রশ্নের জবাবে সুমা জানান,যে তার জীবন নষ্ট করেছে, যার কারণে সামাজিক স্বীকৃতি ছাড়া একটি বাচ্চার মা হয়েছেন সেই জামালের স্ত্রী হিসেবে সারাজীবন কাটাতে নতুবা তার মরণ ছাড়া কোন উপায় নাই।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে ৬ নং সাগরনাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম চৌঃ (লিয়াকত) এর সাথে মুটফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন, তিনি সহ কয়েকজন মেম্বার (সদস্য) কে সাথে নিয়ে মেয়েটি (সুমা) কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাতে সুমা জামালের কথাই বলে। কিন্তু জামাল বিষয়টি অস্বীকার করে, তাই বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদেরকে আদালতের সাহায্য নিতে বলে দিয়েছেন।
বিষয়টি জানতে জামালের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাকে না পেয়ে তার (জামাল) বাবা আব্দুসুবান (কুঠি) মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তার এক কথিত ভাতিজা সামসুদ্দীন বলেন,এই বিষয়টা আপনারা চেয়ারম্যান মেম্বার কে জিজ্ঞেস করুন এটা জামালের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ষড়যন্ত্র। এখন বিষয়টি আইনের আওতায় গেছে, আইনে যদি জামাল মিয়া দুষি হয় তাহলে আইনে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা মাথা পেতে নিবে জামাল।