সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০১৮
এঘটনায় প্রবাসী আবদুন নূরের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় হামলা দায়ের করেছেন মামলা নং ২৬ (তাং ২৯.০৭.১৮ইং)। মামলার অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামের মৃত এখলাছুর রহমানের পুত্র ছবির (৩০), শহিদ মিয়া (বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার), ইলিয়াছ আলীর পুত্র দিলদার (২৮), আবদুর রহমানের পুত্র আলী (৩০), মৃত এখলাছুর রহমানের পুত্র নেছার আহমদ (৩২), হোসেন (২৫), বশির (৩৫)।
বাদী রহিমা বেগম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, স্বামী বিদেশে থাকায় বাদীকে স্থানীয় আমতৈল বাজারে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে হয়। প্রায় ৬ মাস পূর্বে মামলার প্রথম অভিযুক্ত ছবির বাজারে বাদীকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করে। বাদী ছবিরের কাছে গালিগালাজের কারণ জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকে অভিযুক্তরা বাদীর ক্ষতি করার পায়তারা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ জুলাই রাত আনুমানিক ১.৩০ ঘটিকার দিকে অভিযুক্ত ‘ছবির-দিলদার-আলী’ বাদীর বসতঘরের পেছনে থাকা টিনের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত ছবির বৈদ্যুতিক বাল্ব জালিয়ে বাদীর গলায় থাকা ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন টান দিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠা করলে বাদী ঘুম জেগে উঠেন ও অভিযুক্ত ছবিরকে ঝাপটাইয়া ধরে আটকে রাখেন। এসুযোগে অপর অভিযুক্ত দিলদার সেই স্বর্ণের চেইন (মূল্য আনুমানিক ৯০ হাজার টাকা) টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে নেয় এবং আরেক অভিযুক্ত আলী বাদীর শয়ন কক্ষে থাকা আলমারির তালা ভেঙ্গে ড্রয়ারে রক্ষিত প্রায় ৭৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মা-মেয়ের চিৎকার শুনে চাচাত ভাই ফজলু মিয়া ও ভাগ্না তৈয়বুর রহমান তাদের শয়ন কক্ষে এসে উপস্থিত হন।
বাদী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, অভিযুক্ত দিলদার ও আলী বাদী কর্তৃক ছবিরকে আটকে রাখার সংবাদ ছবিরের পরিবারের সদস্যদের দিলে রাত আনুমানিক ২টার দিকে ছবিরের বড় ভাই শহিদ মিয়ার (বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার) নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলার প্রথমেই অভিযুক্ত ‘শহিদ মিয়া’ তার হাতে থাকা দা দিয়ে প্রবাসীর চাচাত ভাই ফজলু মিয়ার মাথায় ছেদ (কুপ) মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর অভিযুক্ত ‘দিলদার-আলী-আহমদ’ তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে এ্যালোপাতাড়ি আঘাত করে। অভিযুক্ত ‘বশির’ দা দিয়ে ছেদ মেরে প্রবাসীর মেয়ে লিমা আক্তারকে এবং অভিযুক্ত ‘হোসেন’ চাকু দিয়ে আঘাত করে প্রবাসীর ভাগ্না তৈয়বুর রহমানকে রক্তাক্ত জখম করেছে।
এব্যাপারে খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার শহিদ মিয়া বলেন, জায়গা বিক্রি বাবদ প্রবাসী আবদুন নূরের কাছে আমি ১ লাখ টাকা পাই। সেই টাকা না দেওয়ার জন্য তারা আমার ভাই (ছবির)’কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বেঁধে রাখে ও সাদা স্ট্যাম্পে টাকা পাইনা মর্মে স্বাক্ষর নেয়। ভাইকে বেঁধে রাখার সংবাদ শুনে আমরা তাদের (প্রবাসী) বাড়িতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার দুই ভাইয়ের রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এঘটনায় আমি আদালতে অভিযোগও দায়ের করেছি।
এঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd