সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৮
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার এর মধ্যবর্তী কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ নামক গ্রামে ২কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। পরিবহন ক্ষেত্রে যান চলাচল করাতো দূরের কথা, প্রতিনিয়ত স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার সহস্রাধিক জনতাকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে হয়ে উঠে রাস্তাটি কাদাপূঁর্ণ। দ্রæত রাস্তাটি পাকাকরনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিন দেখা যায়, ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামটি চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি হলো ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার সড়ক। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটি বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সাসহ চালিত যানবাহনগুলোকে প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা ও জেলাসদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ২ কিলোমিটার কাচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামের হাজারো গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী শেখ মো: জরিফ মিয়া বলেন, ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার এর মধ্যবর্তী ধলাই নদীর উপর নির্মিত সেতুটির দুই পাশে মাত্র দের-দুই কি:মি: রাস্তা পাকা না থাকার কারনে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তটি পাকাকরণ হলে ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক শেখ মো: বেলাল মিয়া জানান, শুধু ওই রাস্তই নয় এলাকার বিভিন্ন কাঁচা-পাকা রাস্ত যেন মরনফাঁদ। আর এসব রাস্তয় যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম মোটরসাইকেল চড়ে অতীতে বহুবার দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যা আজও দৃশ্যমান।
স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার নামক সড়কের চৈতন্যগঞ্জ এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তটি দ্রæত পাকাকরণের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd