সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক:: দ্বিতীয় দিনের মতো সিলেটসহ সারাদেশে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। শনিবার সকাল থেকে সিলেট হতে ঢাকাসহ বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, জাফংল, গোয়াইঘাটের কোনো রুটেই বাস ছেড়ে যায়নি। তবে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে নৈশকালীন সব বাস চলাচল করেছে।
এদিকে ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সারা দেশে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বাস মালিকরাও। তবে বাসের নিরাপত্তার কারণে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সেলিম আহমদ ফলিক। তবে সেলিম এটিকে ধর্মঘট বলতে নারাজ। তিনি বলছেন- আমরা নিরাপত্তার অভাব থাকায় চালকরা গাড়ি বের করছেন না। কারণ বেআইনীভাবে গাড়ি ভাংচুর করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে উচ্ছৃঙ্খল একটি গোষ্ঠী। মূলত তারাই বাসে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তাই নিরাপত্তাহীণতার কারণে তারা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাধারণ যাত্রীদের হয়রানির কথা ভেবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সব রুটে বাস চলবে। সেসঙ্গে শিক্ষার্থীরা যে মুহূর্তে তাদের আন্দোলন বন্ধ করবে। সে মুহূর্ত থেকেই আবারো নিয়মিত বাস চলাচল করবে বলে জানান এই পরিবহন নেতা।
কিন্তু বাস না চলার এমন সিদ্ধান্তে আন্তঃজেলা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সিলেটে কোনো বাস প্রবেশ করেছে না। এখান থেকে সারাদিন বাইরেও যাচ্ছে না। ফলে সকাল থেকে বাস চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সিলেটে বিআরটিসির বাস না থাকায় দুর্ভোগ কাটছে না। ফলে ছুটির দিনে মাইক্রোবাস, সিএনজি ও দূরের যাত্রার জন্য রেলপথকেই বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
বিয়ানীবাজার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য নগরীর কদমতলী বাস কাউন্টারে এসেছিলেন ফারুক হোসেন। আজও বাস বন্ধের খবর শুনে সংক্ষুব্ধ হন।
ফারুক জানান, জরুরি কাজে বিয়ানীবাজার নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য সকালে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কাউন্টারে এসে শোনেন বাস বন্ধ। অবশেষে সিএনজি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। এমন অনেক যাত্রীর ভোগান্তির চিত্র একই। সকাল থেকেই বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে এমন ভুক্তভোগীদের দেখা মেলে। বাস বন্ধের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd