বিশ্বনাথে পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ চরমে, ব্যবসায় ধস

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৮

বিশ্বনাথে পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ চরমে, ব্যবসায় ধস
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে দূরপাল্লার সঙ্গে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস, ট্রাক, সিএনজি এমনকি ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকেরা। সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিকরা অবস্থান করেন। নিরাপত্তার অজুহাতে সিলেটের বিশ্বনাথে চলাচল বন্ধ সব ধরনের যানবাহন। এতে করে ভোগান্তি চরমে বেড়েছে যাত্রীদের। জরুরি কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। প্রয়োজনীয় কাজে প্রাইভেট কিংবা হালকা যানবাহন নিয়ে অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্ঠা করেন। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-রামপাশা সড়কে গত তিনদিন ধরে বাস চলাচলা রয়েছে বন্ধ। রোববার সকাল থেকে সব ধরনের যানবাহনগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে উপজেলা সদরের কয়েকটি ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। ব্যাটারী চালিত রিকশা চলাচলে বাঁধা দিতে দেখা যায় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে পুরো উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে বেলা ২টার পর কিছু কিছু রিকশা ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলেনি। অনেকেই মোটরসাইকেল ও হেটে গন্তব্য স্থানে যেতে দেখা গেছে। উপজেলার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-রামপাশা সড়ক ছিল ফাকা। উপজেলা সদরের অন্যান্য দিনের চেয়ে লোকজনের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। ফলে উপজেলা সদরের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। বেশিরভাগ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ছিল ক্রেতা শূন্য। উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও নতুন বাজারে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও ক্রেতা শূন্য হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আলাপ-আলোচনা করে সময় কাটাতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ী লিলু মিয়া বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বাজারে অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আমার দোকানে আসতে দেখিনি। ফলে কোনো মালামাল বিক্রয় করতে পারিনি।
মিজানুর রহমান নামে এক যাত্রী জানান, পরিবহন ধর্মঘটে খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। আমি এখন সিলেট শহরে যাবো। তার সঙ্গে থাকা ভারী ব্যাগপত্র নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর-রামপাশা শ্রমিক সমিতির সভাপতি ফজর আলী বলেন, আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় যানবাহন রাস্তায় নামাচ্ছি না। মালিক সমিতির আহ্বানে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। যখনই নিরাপত্তার বিষয়টি কেটে যাবে তখন গাড়ি চালানো হবে। চালকের ফাঁসির দাবি নামতে তিনি নারাজ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..