বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে মাদকদ্রব্য রেখে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে আবদুল খালিক (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিজে ফেসে গেলেন। তিনি উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের নয়াসৎপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে। মাদকদ্রব্য রেখে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসাতে গিয়ে ঘটনার মূল নায়ক নিজেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। (৫ আগষ্ট) রোববার বেলা ২টায় উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দক্ষিণ সৎপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার নয়াসৎপুর গ্রামের আবদুল খালিক থানা পুলিশকে আজ রোববার দুপুরে অবহিত করে তাদের পাশ্ববর্তি গ্রামে একটি বাড়িতে মদ-গাঁজা-ইয়াবা বিক্রিয় হয়। এমন খবর পেয়ে থানার এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার ও এএসআই পরিমল এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংবাদ গৃহিতা ব্যক্তি আবদুল খালিকের তথ্যমতো উপজেলার দক্ষিণ সৎপুর গ্রামের গম্ভীর আলীর বসতঘরে পুলিশ তল্লাশি চালায়। এসময় আবদুল খালিকের দেখানো জায়গা গম্ভীর আলীর বসতঘর থেকে পুলিশ ২০০ গ্রাম গাঁজা, ৪০ পিস ইয়াবা, ৭ বোতল অফিসার্স চয়েজ মদ উদ্ধার করে।
মাদকদ্রব্য রেখে গম্ভীর আলীর পরিবারকে ফাঁসানোর চক্রান্ত সন্দেহ হলে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে আবদুল খালিককে আটক করে। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাদক দ্রব্য রেখে অন্যকে ফাঁসানোর সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় সংগোপনে ঘরে প্রবেশ করত পুলিশকে মিথ্যা তথ্য উদ্ধাবন করিয়া প্রতারনার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করার অপরাধে আবদুল খালিককে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।
এব্যাপারে গম্ভীর আলীর ছেলে খোয়াজ আলী বলেন, আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। তারাই আবদুল খালিককে দিয়ে আমাদের ঘরে মাদকদ্রব্য রেখে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করেছিল।
বিশ্বনাথ থানার এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার বলেন, মাদকদ্রব্য রেখে পরিকল্পিত ভাবে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ঘটনার মূল নায়ক নিজেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!