সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সিলেট রেঞ্জের কনস্টেবল মোঃ সাইফুল ইসলাম তথ্য গোপন রেখে পুলিশের (নিরস্ত্র) সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরি পেয়েছেন। এই খবর প্রকাশের পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে পুলিশের আইজি বরাবর সাইফুলের বাড়ির পাশের আলী হোসেন নামে এক ব্যাক্তি লিখিত অভিযোগ করে সাইফুলের বিরুদ্ধে সরেজমিন তর্দন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এবিষয়ে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব দেবকে তদর্ন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,সিলেট রেঞ্জের হবিগঞ্জের আজমীরিগঞ্জ থানার কনস্টেবল মোঃ সাইফুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশে তার কনস্টেবল নং-৭৯৪,বিপি নং-৯১১৩১৬৬৪৮৭৮। ২০১৭সালে বাংলাদেশ পুলিশের ৩৬তম আউট সাইট ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তথ্য গোপন রেখে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে আবেদন করলে চাকরির জন্য সাইফুল নির্বাচিত হন। কিন্তু তাহিপুরে উপজেলার কাউকান্দি গ্রামের কয়লা ব্যবসায়ী আক্তার আলীর মেয়ে মোছাঃ সুফিয়া বেগমের সাথে ২০১৭সালের ১০আগষ্ট সাইফুল ইসলাম ধুমধামের সাথে বিয়ে করেন। আবেদনে দেয়া কাগজপত্রসহ তার বিষয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট চাওয়া হয় পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ জেলার বিশেষ শাখা কাছে। সাইফুল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার আমতৈল গ্রামের মৃত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের ছেলে। সেই কারনে পুলিশ সুপার তর্দন্ত প্রতিবেদনের জন্য তাহিরপুর থানার ওসি কে দায়িত্ব দেন। তাহিরপুর থানার তর্দন্ত কালে চতুর সাইফুল ইসলাম নানান ভাবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে এবং আশ পাশের লোকজন কোন অভিযোগ না করায় সহজেই ‘অবিবাহিত’ উল্লেখ করে চলতি বছরের ৭জানুয়ারি তর্দন্ত প্রতিবেদন নেয় সাইফুল ইসলাম। তথ্য গোপন রেখে পুলিশের চোখে ফাঁিক দিয়ে ভেরিফিকেশন রিপোর্ট (ভিআর) নিয়েছেন কনষ্টেবল মোঃ সাইফুল ইসলাম। ভেরিফিকেশন রির্পোট অনুযায়ী চাকরি হয় সাইফুলের।
বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কাজী আবদুল মান্নান বলেন,বিয়ে ইমাম সাহেবকে দিয়ে পড়ানো হয়েছে। আমরা কাবিন নামা লিপিবদ্ধ করেছি।
সাইফুলের শ্বশুর ব্যবসায়ী আক্তার আলীর সাথে যোগাযোগ করলে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। সাইফুল ইসলামের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় যার জন্য তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।
ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন,আমি ত তর্দন্ত করেনি করেছে আমার অধিস্থ থানার এসআই। তর্দন্ত কালে সাইফুলের পরিবার কাবিন বা বিয়ে করেছে সম্পূর্ন বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। আর আশ পাশের কেউ এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীও তর্দন্ত করার সময় এই বিষয়ে কোন অভিযোগ করেনি ফলে ভেরিফিকেশন রির্পোট দেওয়া হয়েছে। বিয়ে করেছে জানলে পারলে ত ভেরিফিকেশন দেওয়ার প্রশ্নেই আসে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd