নার্সিং কলেজে বাথরুমে ছাত্রীর শরীর তল্লাশি!

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৮

নার্সিং কলেজে বাথরুমে ছাত্রীর শরীর তল্লাশি!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বগুড়া নার্সিং কলেজে ভিজিল্যান্স টিমের এক সদস্য বাথরুমে ঢুকে এক ছাত্রীর শরীর তল্লাশি করলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।

সোমবার সকালের ওই ঘটনায় শিক্ষকরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুর হোসেন জানান, ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জামাল উদ্দিন কাজটা ঠিক করেননি।

পরীক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া নার্সিং কলেজে গত কয়েক দিন আগে বিএসসি ইন নার্সিং সায়েন্স এবং বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। ১২২ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

সোমবার সকালে তৃতীয় দিন মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষা ছিল। রাজশাহী থেকে ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জামাল উদ্দিন ও রাজশাহী নার্সিং কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাকটর শেফালী খাতুন কলেজে আসেন।

ভিজিল্যান্স টিমে একজন নারী সদস্য থাকার পরও পরীক্ষা শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে সেকশন অফিসার জামাল উদ্দিন নকল ধরতে বাথরুমে ঢোকেন। তিনি এক ছাত্রীর শরীর তল্লাশি করেন। এতে পরীক্ষার্থীদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা পরীক্ষা বর্জন করে হল থেকে বাইরে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।

কলেজের শিক্ষকরা ভিজিল্যান্স টিমের ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ২০ মিনিট পর পরীক্ষার্থীরা হলে ফিরে পরীক্ষা দেন। পরে তাদের বাড়তি সময় দেয়া হয়েছে।

বগুড়া নার্সিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুর হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিজিল্যান্স টিমের ওই সদস্য বাথরুমে ঢুকে ছাত্রীর শরীর তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন। এ কাজটি ঠিক করেননি। তিনি যাওয়ার আগে অঙ্গীকার করেছেন, পরীক্ষার হলে এমন কিছু আর করবেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তবে ভিজিল্যান্স টিমের অভিযুক্ত ওই সদস্য রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার জামাল উদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..