সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হয়রানিমুলক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বিজ্ঞ আদালতের বিচার সুনামগঞ্জে এক বাদীকে ২ বছরের কারাদন্ডাদেশের রায় প্রদান করেছেন।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় প্রদান করেন।’
সোমবার জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা এলাকার উসমান আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে ওই রায় প্রদান করেন বিচারক। এ সময় তাকে ১০হাজার টাকা জরিমা ও অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদন্ড প্রদানের আদেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা এলাকার মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে রাহাত মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন রাশিদা বেগম।
ওই মামলায় হারুন মিয়া নামে দোয়ারাবাজার এলাকার আজবপুর গ্রামের আরো এক ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়। মামলায় আদালত দোয়ারাবাজার থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্ত শেষে রাহাত মিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
পরবর্তীতে মামলার বাদী তদন্ত রিপোর্টের ওপর নারাজি দিলে আবারও মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সহকারি জজ (দিরাই) আদালতের বিচারক মো. মহিউদ্দিনকে। তদন্ত শেষে তিনিও এই অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ পান। তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হলে ফের তদন্ত রিপোর্টের ওপর মামলার বাদী নারাজি জানান। এরপর এই মামলা পুন:রায় তদন্তের জন্য আদালতের বিচারক দায়িত্ব প্রদান করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলগ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর জোন) মোছা. বিলকিছ আক্তারকে। তিনি মামলার তদন্ত করে অভিযুক্ত রাহাত মিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ পাওয়ায় আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালত ২০১৪ সালের ৬মার্চ মামলাটি খারিজ করে দেন।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাহাত মিয়া ওই মামলার বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানির অভিযোগ আদালতে মামলা দায়ের করলে শুনানী শেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাকির হোসেন রাশিদা বেগমকে ২ বছরের কারাদন্ডদেশসহ ১০হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন। রাহাত মিয়ার অভিযোগে আরও ওই মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল খালেক ও আব্দুল আলেককে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd