সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৮
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : চা বাগানে বদলী হয়ে আসা এক কর্মচারীর যোগদানের প্রতিবাদে ও বাগানের শিক্ষিত বেকার শ্রমিক সন্তানদের চাকুরীতে নিয়োগ দানের দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩টি চা বাগানের ১৫০০ চা শ্রমিক কাজে যোগদান না করে কর্মবিরতি পালন করছে।গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর সরকারি মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) এর কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরুঞ্জী চা বাগানে এ কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা।
কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশি, বাঘাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি রাখাল গোয়ালা ও কুরুঞ্জী চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি শিমন্ত মুন্ডা জানান, ন্যাশনাল টি কোম্পানির পাত্রখোলা চা বাগানের বিতর্কিত কর্মচারী (টিলা বাবু) আব্দুল কাইয়ুমকে বদলী করে কুরমা চা বাগানে নিয়োগ দেওয়া হয়। বদলী হওয়া কর্মচারী আব্দুল কাইয়ূম কুরমা চা বাগানে যোগদান করায় সাধারণ চা শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেখা দেয়। সাধারণ চা শ্রমিকরা বিতর্কিত এই কর্মচারীকে কুরমা চা বাগানে মেনে নিচ্ছেন না। একই সাথে কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরঞ্জী চা বাগানের শিক্ষিত বেকার চা শ্রমিক সন্তানদের শূন্য পদে নিয়োগদানের দাবি জানিয়েছে চা শ্রমিকরা। এ দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে কাজে যোগদান না করেই এই তিন চা বাগানের নিবন্ধিত ১৫০০ চা শ্রমিক কর্ম বিরতি পালন করছে।
কুরমা চা বাগানের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত চা শ্রমিক বালক দাশ, সত্য নারায়ন কূর্মী, মদমোহন তেলী, বাবুল মিয়া,শ্রীদর্শন কূর্মী, ও জমশেদ আলী বলেন, এ চা বাগানে ৮টি শূন্য পদ রয়েছে। তারা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে কাজ করলেও এসব শূন্য পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ অন্য চা বাগানের বিতর্কিত একজন কর্মচারীকে কুরমা চা বাগানে এনে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাই সাধারণ চা শ্রমিকদের সাথে আলোচনাক্রমেই এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
কুরমা চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বদলী একটি রুটিন ওয়ার্ক। কোম্পানির নিয়মেই পাত্রখোলা চা বাগানের কর্মচারী আব্দুল কাইয়ূমকে কুরমায় বদলী করা হয়েছে। এখানে তিনি কোম্পানির নির্দেশনা মেনেছেন। আর শূন্য পদে নিয়োগ বা কারা নিয়োগ পাবে তা কোম্পানির বিধি মোতাবেক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবেন। স্থানীয় ব্যবস্থাপক হিসাবে তার করার কিছু নেই বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে তিনটি চা বাগানের নিবন্ধিত ১৫০০ চা শ্রমিকের কর্মবিরতি পালন সম্পর্কে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, এ ঘটনাটি তিনি জানেন না। তাছাড়া কুরমা চা বাগানের ব্যবস্থাপকও তাকে কিছু জানাননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd