সিলেটের বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স আবেদনের হিড়িক পড়েছে

প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০১৮

সিলেটের বিআরটিএ অফিসে লাইসেন্স আবেদনের হিড়িক পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ে প্রতিদিন ভীড় বাড়ছে।

সিলেট জেলা প্রশাসন অফিসের তৃতীয় তলায় বিআরটিএ’র দফতরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপছে পড়া ভীড়। আগতদের বেশিরভাগই এসেছেন যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা, শিক্ষানবীস লাইসেন্স, নতুন লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন ও হারানো লাইসেন্সের ডুপ্লিকেট কপি উত্তোলন, যানবাহনের ট্যাক্স পরিশোধ, যানবাহনের লাইসেন্স নবায়ন করতে। হঠাৎ করে সেবা প্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তিও। কাজ সারতে অনেককেই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

তবে বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) বিআরটিএর প্রোপৌ. কে. এম. মাহাবুব করিম বলছেন, হঠাৎ করেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ ও গাড়ির লাইসেন্স আবেদনের হিড়িক পড়েছে। সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বেশি হলেও কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়েনি।

বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা আরও জানান, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন জোরদার হওয়ার পরই চালক লাইসেন্স এবং গাড়ির নতুন রেজিস্ট্রেশন ও পুরাতন রেজিস্ট্রেশন নবায়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর এ সংখ্যা আগের চেয়ে ১০ গুণ বেড়েছে।

বুধবার বেলা ১টায় দিকে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের নিচে কমপক্ষে ৫০-১০০ জন সেবাপ্রত্যাশী অপেক্ষা করছেন। তাদের বেশীরভাগই এসেছেন গাড়ির ফিটনেস চেক করাতে।

এছাড়া ভবনেরর তৃতীয় তলার লাইসেন্স শাখায় প্রায় অর্ধশত সেবাপ্রত্যাশী অপেক্ষা করছেন। তাদের বেশির ভাগই এসেছেন মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করানোর জন্য। অন্যরা এসেছেন মোটরসাইকেল ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।

বিআরটিএ সিলেট কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, সকালে ভীড় ছিল আরও বেশি। মূলত গত বৃহস্পতিবার থেকেই ভীড় বাড়তে শুরু করে। এরপর ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর রোববার থেকে এর চাপ আগের চেয়ে ১০ গুন বেড়ে যায়।

বিআরটিএ অফিসে কথা হয় সেবাপ্রত্যাশী আলী হোসেনের। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন মোটরসাইকেল চালালেও কখনও চালক লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। রোববার বন্দরবাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে নগরীর চৌহাট্টায় বিক্ষোভকারী একদল শিক্ষার্থী লাইসেন্স দেখতে চায়। দেখাতে না পারায় তারা নানা ভাষায় কটূক্তি করেছে। তাই তিনি বিআরটিএ অফিসে চলে এসেছেন লাইসেন্স করানোর জন্য।

আরেক সেবাপ্রত্যাশী কামাল হোসেন। তিনি এসেছেন গাড়ির কাগজপত্র চেক করাতে। কিন্ত ভিড়ের জন্য কারও সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না।

সিএনজি গাড়ীর মালিক হাবিবুর রহমান বলেন, লাইসেন্স এবং গাড়ির নতুন রেজিস্ট্রেশন ও পুরাতন রেজিস্ট্রেশন নবায়নের সংখ্যা বেড়েছে তাই দির্ঘ লাইনে গাড়ী নবায়ন করতে হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নগরীতে ১৩৩ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..