সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০১৮
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: গরু চুরি বন্ধে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। গত তিন দিন ধরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ২৪টি গরু ও ৫ গরু চোরকে আটক করা হয়। পুলিশের এমন অভিযানে স্বস্থি ফিরে এসেছে গৃহস্থের মধ্যে। গরু উদ্ধারের পর থেকে বিশ্বনাথ থানায় তিন ধরে উৎসুক জনতা ও ভোক্তভোগি মানুষের ভীড় লেগেই আছে বিশ্বনাথ থানা কমপাউন্ড।
বিশ্বনাথ থানা পুলিশের অভিযানে গরু উদ্ধারের খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উদ্ধারকৃত গরু সনাক্ত করতে বিশ্বনাথ উপজেলাসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসছেন বিশ্বনাথ থানায়। শনিবার সকাল থেকে এপর্যন্ত (রোববার বেলা ১টা) থানায় আগত চুরি হওয়া গরুর মালিক ও উৎসুক জনতা ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
থানা পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধারকৃত ২১টি গরুর মধ্যে এপর্যন্ত ৯টি গরুর মালিক তাদের গরু সনাক্ত করেছেন। তবে সনাক্তকারীরা গরুর সঠিক মালিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া আরো চোরাই গরু উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করতে গত তিন দিন ধরে ব্যাপক অভিযানে নামে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের আলী রেজার বাড়িতে বেশ কয়েকটি চোরাইকৃত গরু রয়েছে। এরপর শনিবার ভোরে আলী রেজার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ১১টি চোরাই গরু উদ্ধার করে পুলিশ এবং এসময় আবু রেজা (৩৫) ও জগন্নাথপুর উপজেলার বাউরকাপন গ্রামের হেকিম মুন্সির পুত্র আবির মিয়া (৩৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় উত্তর ধর্মদা গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়িতে থেকে আরো ১১টি চোরাই গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই গরুগুলো উত্তর ধর্মদা গ্রামের প্রবাসীর বাড়ির গোয়াল ঘর ভাড়া নিয়ে রাখা হয়েছিল।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, উদ্ধারকৃত ২২টি গরুর মধ্যে এপর্যন্ত ৯টি গরু সনাক্ত করা হয়েছে। সনাক্তকারীরা গরুর সঠিক মালিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং চোরাই গরু উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd