সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ব্লেড দিয়ে সিজার করা সেই প্রসুতিকে আশংকা জনক অবস্থা যোনী পথে অতিরিক্ত কাটা অংশ সেলাই করেন কর্তব্যরত ডাক্তারগন। এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছিল গত বুধবার থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর ৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার (১১আগষ্ট) দুপুরের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাট করেছে কর্তরত ডাক্তারগন। সিলেট পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ। এই দিকে এই আলোচিত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অর্থের বিনিময়ে আপোষ মিমাংশা করতে জোড়ালো কার্যকর প্রদক্ষেপ নিচ্ছে ঐ দু ডাক্তারের সাথে যোগ সাজোসে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ফলে প্রভাবশালী মহলের চাপে মামলা দিতে পারছে না ভুক্তিভোগী পরিবার।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ক্ষোবের সাথে জানান,শুনেছি আফোষ মিমাংশা করার চেষ্টা করছে মোটা অংকের টাকার বিনীময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মিমাংশা হলে ত এই রখমের অন্য সব ডাক্তাররা আরো সাহস পাবে। যে এত বড় অন্যায় করেও শাস্তি হল না। তাই এই দুই হাতুরে ডাক্তারের কঠিন শাস্থির দাবী করছি।
এ বিষয়ে ঐ মৃত নবজাতক ও আহত গর্ভবর্তী মামা খুলেশ্বর বর্মন জানান,শুনছি সুস্থ বাচ্চাটাকে মেরে ফেলছে আর বাগনী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হাসপাতালে এই এই কদিন রাখার পর অবস্থা ভাল না থাকায় শনিবার দুপুরে ডাক্তারগন সিলেট রের্ফাড করেছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূনেন্দ্র দেব জানান,শুনেছি প্রসবের পর বাচ্চাটি নড়াচড়া করেছে। বাচ্চার মাথা কেটে যাওয়ায় মাথার সেলাই দিয়েছে ঐ ডাক্তাররা। পরে বাচ্চা মারা গেছে। এই বিষয়ে শুনেছি স্থানীয় লোকজন মামলা না করে আপোষ মিমাংশা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন আপোষ না মামলা করতে আমি সুজিত (মৃত নবজাতক ও আহত গর্ভবর্তীর স্বামী) কে বলেছি সাথে পুলিশ প্রশাসন কেও বলেছি। এদের মত ডাক্তারদের শাস্তি না হলে এমন জগন্য কাজ করে রেহাই পেলে অন্যান্যদের সাহস আরো বেড়ে যাবে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)নন্দন কান্তি ধর জানান,ঘটনা শুনেছি খুবেই দুঃখজনক। এখনও কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসে নি। ঘটনার পর থানা থেকে একজন এসআই পাঠিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি আর ঐ দুই চিকিৎসক কে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। যে কোন সময় তাদের আটক করতে সক্ষম হব।
উল্লেখ্য,স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের বুধবার (৮আগষ্ট) রাতে বড়খলা গ্রামের সুজিত বর্মনের স্ত্রী শৌমরী বর্মনের প্রচন্ড প্রসব ব্যাথা উঠে। এই সময় সুজিতের পরিবারের লোকজন গ্রামের পল্লী চিকিৎসক লাল মোহন বর্মন ও নরুল আমিন নামের দু জনকে বিষয়টি অবগত করে। তারা ঘটনা শুনে পরেই দুইজন মিলেই সুজিতের বাড়িতে যায়। ঐ দুই ডাক্তার ঐ গভবর্তীর শরীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজনকে জানায় পেটের বাচ্চা মারা গেছে আর মায়ের অবস্থা বেশী ভাল না। এই অবস্থায় সুজিতের পরিবারের লোকজকে দুই ডাক্তার আরো জানায়,দ্রæত সিজার করাতে হবে। আর তারা নিজেরাই সিজার করতে পারবে বলে জানায়। পেটের বাচ্চা মারা গেছে শুনে সুজিতের পরিবারের লোকজন কি করবে দিশেহারা হয়ে পরে। কোন পথ না বুজেই ঐ দুই ডাক্তারের কথায় রাজি হয়ে যায়। এই দুই ডাক্তার এর পরেই সুজিতের বসত-বাড়িতেই সিজার করতে গিয়ে অনবিজ্ঞ থাকায় গর্ভবতীর যোনী পথ ব্লেড দিয়ে অতিরিক্ত কেটে বাচ্চা বের করে আনতে গিয়ে নবজাতক শিশুর মাথাসহ শরীলের বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলে। এতে বাচ্চাটি মারাত্নক ভাবে আহত হয়। কিন্তু বাচ্চা মরা যায় নি। কেটে যাওয়া অংশ গুলো তারা সেলাই করে। এই অবস্থায় বাচ্চাটিকে বাচাঁতে দ্রæত পাশ্বভর্তি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে গুরুত্বর আহত অবস্থায় শৌমলী বর্মন (বাচ্চার মা) কে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর দিন বৃহস্পতিবার বিকালে এই ঘটনা শুনে ঘটনা স্থল বড়খলা গ্রামে যান তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূনেন্দ্র দেব ও তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ ইকবাল হোসেন এবং আইনি সহযোগীতা করা আশ্বাস দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd