কানাইঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন

প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০১৮

কানাইঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন

ক্রাইম ডেস্ক :: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানিয়েছেন কানাইঘাটের কয়েকজন ভূক্তভোগী। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সিলেটের এসপিকে ‘দেখা’র নির্দেশ দিয়েছেন। ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। আবেদনকারীরা হলেন, কানাইঘাট উপজেলার দলইকান্দি নয়াগ্রামের তারা মিয়ার পুত্র আব্দুস শহীদ (২৭), বানীগ্রামের শামুসল হকের পুত্র ছাব্বির আহমদ (২৮), মেম্বার আফতাব উদ্দন (৬০) ও খাশের মাটি গ্রামের মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র সালিক মিয়া (৬০)। তারা অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১২০ জনের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে উপস্থিত হয়ে এ আবেদ জানান। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৯ জুলাই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ব্যাপারে অভিযান চালান কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা। তিনি গাছবাড়ি বাজারের সর্দার মাটি গ্রামের সামনে সুরমা নদীতে বালু উত্তোলনকারীদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ফরিদ উদ্দিনের ভাতিজা জাবের আশরাফ চৌধুরী ও রফিক উদ্দিনের মালিকানাধীন ড্রেজার মেশিন এবং বলগ্রেড নিয়ে অনেক শ্রমিক রাজাগঞ্জের দিকে চলে যায়। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের ফেলে যাওয়া ড্রেজার মেশিন ও বলগ্রেড গাছবাড়িবাজারের মহিষের বাজারে নিয়ে আসেন গাছবাড়ি ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তারা নুরুল আমীন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা ড্রেজার ও বলগ্রেড ধ্বংসের নির্দেশ দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় উপস্থিত লোকজন সেগুলো ভাঙচোর করেন এবং নুরুল আমীন পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় ড্রেজারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৩ জন আহত হন। পরে নুরুল আমীন জামায়াত ও বিএনপি নেতাদের চাপে এবং নিজের উপর থেকে দায়ভার সরাতে উল্লেখিত ৫ জনসহ এলাকার অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১২০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে কানাইঘাট থানায় জিআর মামলা (নং ১৫৭/১৮) দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশী হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে তারা স্থানীয় সাংসদ সেলিম উদ্দিনসহ আরও অনেক কর্মকর্তার সুপারিশ নিয়ে ঢাকায় যান। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আবেদর পত্রে সিলেটের এসপির উদ্দেশ্য ‘দেখুন’ বলে নিজের স্বাক্ষর প্রদান করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..