সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০১৮
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে মধু বিক্রয়ে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ায় চারজন ভেজাল মধু বিক্রেতাকে জনতা আটক করে প্রতারণা করে নেয়া টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভেজাল মধু নিজেরাই তৈরি করে খাঁটি মধু বলে বিক্রি করতে গিয়ে তারা ধরা পড়ে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের মৃত কটাই মিয়ার পুত্র সমুজ আলী, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কাইমা-মধুপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের পুত্র জেনানুল হক ও তাদের দু’সহযোগী অপরাধ স্বীকার করে স্থানীয় লোকজনের টাকা ফেরত দিয়ে ছাড়া পায় তারা। এসময় ভেজাল মধু তৈরির বর্ননা দিয়েছে তারা। তারা জানায়, চিনির সাথে ক্ষতিকর উপাদান ও ফিটকিরি মিশিয়ে আগুনে দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় মধু। চিনির রস যাতে নীচে জমাট না হয় এজন্যই মিশ্রিত করা হয় ফিটকিরি। চিনির রসে ফিটকিরি মেশানোর ফলে জ্বাল দেয়া চিনির রস মধুর মতো গাঢ় হয়। যা দেখে অভিজ্ঞ ছাড়া কারো পক্ষে ভেজাল মধু বলে সনাক্তকরণ সম্ভব হয় না। পরে গামলা বা বালতিতে ভরে এতে কয়েক টুকরো মৌচাকের অংশ ফেলে বিভিন্ন শহর ও গ্রাম ঘুরে এসব চিনির রস তারা প্রাকৃতিক মধু বলে বিক্রি করে। তারা এসব নিজের তৈরি মধু বোতলজাত করে ৩ থেকে ৪শ’ টাকা লিটার দরে বিক্রি করে আসছে। ছাতকসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামে ভেজাল মধুকে খাঁটি বলে বিক্রি করে যাচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকে। বৃহস্পতিবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাউসা ও চারচিরা গ্রামের দু’টি বাড়ির গাছে এ চক্র মৌচাকের সন্ধান পায়। বাড়ি মালিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে অর্ধেক ভাগাভাগির শর্তে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহকালে তাদের সাথে রাখা বালতি ভরা ভেজাল মধু কৌশলে মৌচাকে ঢেলে দেয়। এ সময় মধু নিয়ে গাছে উঠতে গেলে লোকজন সন্দেহ করলে তাদের বুঝানো হয়, চাকে অল্প করে মধু ঢেলে না দিলে মৌচাক মধু ছাড়েনা। গাছ থেকে কৌশলে সংগ্রহ করা মধু এলাকার লোকজনের কাছে ৬শ’ টাকা লিটার দরে প্রায় ১০হাজার টাকার মধু বিক্রি করে তারা। স্থানীয় এক লোকের প্রশ্নে আটকে গেলে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করে তারা। এসময় চক্রটি ভেজাল মধু তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি লোকজনকে জানায়। এসময় বিক্রি করা মধুর টাকা তাৎক্ষনিক কয়েকজনকে ফিরিয়ে দিলেও দু’ জনকে এখানে আটকে রেখে অন্য দু’জনের মাধ্যমে বিকাশে একাউন্টে অন্যানদের টাকা উদ্ধার করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd