সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু হত্যার পেছনে নতুন জেলা ও মহানগর কমিটি বা বিএনপি নেতৃবৃন্দ দায়ী নয়। মূলত সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মসনদে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। রাজু নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটিদ্বয়ের বিরুদ্ধে গেলেও মূলত মাস খানেক পূর্বেও সে ছিল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রকিব চৌধুরীর অনুসারী। আব্দুর রকিব চৌধুরী সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ট আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। যা গত ৫ বছর আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র থাকাকালীন সময়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। মেয়রের যাবতীয় কাজকর্মে রকিব ছিল একমাত্র অবলম্বন। এককথায় ছাত্রদল নেতা রকিব মেয়র আরিফের ঘনিষ্ট সহচর হয়ে কাজ করছিল।
তাই এবারের সিটি নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ আব্দুর রকিব চৌধুরীকে আর মেয়রের পাশে দেখতে চাননা। তারা নতুন কাউকে মেয়রের ঘনিষ্ট বানিয়ে নিজের ফায়দা লুটতে চান। আর এ কারনেই রাজুকে বলির পাঠা হতে হয়।
জানা যায়, নিহত রাজু ছিল আব্দুর রকিব চৌধুরীর অনুসারী। সে দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে আব্দুর রকিব চৌধুরীর হয়ে কাজ করছে। তাই রাজুকে আব্দুর রকিবের কাছ থেকে সরাতে পারলে রকিব অনেকটা নড়বড়ে হয়ে পড়বেন। রকিবকে মেয়রের কাছ থেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আজিজুল হোসেন তাদের নিজেদের অবস্থান মেয়রের মসনদে পাকাপুক্ত করতে নিহত রাজুসহ তার কিছু বন্ধুদের তাদের দলে ভিড়ান। রকিবের বিরুদ্ধে রাজু ও তার বন্ধুদের লেলিয়ে দেন। যার প্রমাণ মিলে গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন। ভোট গণনা শেষে নির্বাচন অফিস থেকে যখন আরিফুল হক চৌধুরী বাসায় ফিরছিলেন তখন নিহত রাজুর সাথে আব্দুর রকিবের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বয়ং মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এ বিষয় নিষ্পত্তি করেন বলে জানা যায়। তার জের ধরে আব্দুর রকিব অনুসারীরা গত ১১ জুলাই রাজুর উপর হামলা করেন। এ হামলায় রাজুর শরীরে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় সে মারা যায়।
এতে স্পষ্ঠই প্রতীয়মান হয় যে, দলীয় কোন কুন্দল কিংবা বর্তমান সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির জের ধরে রাজু খুন হয়নি। মেয়র আরিফের মসনদে আধিপত্যের ভাগাভাগি করতে রাজু খুন হয়।
রাজু খুন হওয়ার পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্যে অনুরূপ ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। দলীয় বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বললে জানা যায়, রাজু হত্যা রাজনৈতিক বা দলীয় অর্ন্তকলহের কারণে হয়নি। এ দায়ভার বিএনপি ও ছাত্রদল নিতে পারে না। তারা রাজুর প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd