পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা ও তার স্ত্রী হত্যার রহস্য ফাঁস

প্রকাশিত: ১১:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৮

পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা ও তার স্ত্রী হত্যার রহস্য ফাঁস

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশ দম্পতির ওপর হামলায় নিহত স্ত্রী শিল্পী বেগমের শ্বশুর আবুল কাশেম এবং শাশুড়ি অজুফা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মামুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ মামুনের বাবা আবুল কাশেম ও মা অজুফা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে নিহত শিল্পী বেগমের ভাই উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের যোগীরকোফা গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় শিল্পীর স্বামী এএসআই ফিরোজ আল মামুন, তার ভাই সানি, বাবা আবুল কাশেম ও মা অজুফা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মঙ্গলবার নিহত শিল্পী বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে বাদ এশা যোগীরকোফা গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বাওয়ার কুমারজানি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার স্ত্রী ছালেহা বেগম (৮৫) ও সৈকত হোসেনসহ গ্রামের কয়েকজন জানান, সোমবার বিকেলে মামুন তার ভবনের ছাদ থেকে হাত দিয়ে ডাকতে থাকেন। এ সময় মামুনের মা অজুফা বেগমসহ তারা কয়েকজন ভবনের দিকে এগিয়ে দেখেন মামুনের শরীর রক্তাক্ত অবস্থায়। তখন অজুহা বেগমের সঙ্গে ছালেহা বেগম একাই ওই ভবনের ভেতরে যান। ছাদে গিয়ে মামুনের স্ত্রী শিল্পী বেগমকেও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই মামুনের ছেলে মোয়াজ আল মামুনও দাঁড়ানো ছিল। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কমল সরকার জানান, এএসআই মামুনের বাবা আবুল কাশেম ও তার মা অজুফা বেগমকে জবানবন্দি দেয়ার জন্য টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুপন কুমার দাসের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হলেও আমরা এখনও তা হাতে পাইনি।

মির্জাপুর থানা পুলিশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মামুনের বাবা আবুল কাশেম ছেলে মামুন এবং তার স্ত্রী শিল্পীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছেন বলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তবে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কি-না তা জানার চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..