সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজু হত্যার মূল আসামী ও হুকুমদাতা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে। প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরাফেরা করলেও অদৃশ্য কারণে আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা।
গত ১১ আগস্ট স্থানীয় রাজনীতির কলহ দ্বন্ধে ছাত্রদলের কমিটির পক্ষের লোকজনের নির্মম আঘাতে খুন হন ছাত্রদল নেতা রাজু। খুনের ১ দিন পর তার চাচা বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রকিব কে প্রধান আসামী ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন দিনারকে ২নং আসামী করে মোট ২৩ জন ও অজ্ঞাত ১০/১৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। রাজু খুন হওয়ার পর থেকে রাকীব ও দিনার সহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামীরা প্রকাশ্যে নগরীতে চলাফেরা করছে। আলফু নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও খুনের মূল হোতারা আজও গ্রেফতার হয়নি।
মামলার আসামীদের রাজনৈতিক বিশ্লেষনে দেখা যায় প্রায় আসামী-ই বর্তমান সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। যার বিদ্রোহী নেতা ছিলেন নিহত রাজু। বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে কথা বলায় রাজুকে খুন করা হয়।
সিলেট সিটি নির্বাচনের পূর্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন, সিটি নির্বাচন পরে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটির দ্বন্ধ নিরসন করা হবে। নির্বাচনের পরে এ কমিটিদ্বয়ের দ্বন্ধ কলহের জের ধরে একজন ছাত্রদল নেতা খুন হলেও আজও ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত বা স্থগিত করা হয়নি।
জানা যায়, বিদ্রোহীরা ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থানের প্রধান কারণ হলো কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার কট্টর গ্র“পিং ও পছন্দ মতো তার গ্র“পের লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া যাদের কেউই বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভূমিকাই ছিল না। তাই অযোগ্য, অছাত্রদের বাদ দিয়ে যোগ্য ও পরীক্ষিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের জন্য আন্দোলন করেন বর্তমান বিদ্রোহী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। যার জেরে খুন হন বিদ্রোহী ছাত্রদল নেতা রাজু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শীঘ্রই সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে। ছাত্রদলের মতো যদি ঐ ব্যক্তির কট্টর গ্র“পিং ও পছন্দের লোকদের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে স্থান দেওয়া হয় তাহলে সিলেটের রাজনীতিতে হয়তো এক কালো অধ্যায় রচনা হবে। বিএনপির রাজনীতি নিয়ে নিজ গৃহে মারামারি, সংঘর্ষ, খুন খারাপি লেগেই থাকবে এমনটাই ধারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
তৃণমূল নেতৃবৃন্দরা মনে করেন, সিলেটে সুস্থ রাজনীতি বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ জরুরী। আগামী কমিটি গুলোতে একতরফা কট্টর গ্র“পিং পরিহার করে যোগ্য, দক্ষ ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের স্থান দেয়া হলে সিলেটে রাজনীতির দ্বন্ধ নিরসন করা সম্ভব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd