সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর রায়নগর রাজবাড়ী আবাসিক এলাকায় সরকারী শিশু সদনের ঠিক উল্টোদিকে জমিটি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। সেখানে ওই পুলিশ সদস্য অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় স্থাপনাটি ভেঙে দেন। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হচ্ছেন আবুল খায়ের; তিনি মহানগর পুলিশের সিটি এসবি ব্রাঞ্চে রয়েছেন। প্রথম নির্বাচিত হওয়ার পরে আবুল খায়ের মেয়র আরিফের গানম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা নজমুল হক দাবি করেছেন, জায়গাটির মালিক তিনি। তার বাসার ঠিক পূর্বপার্শ্বের ভূমির মালিক সদ্য নির্বাচিত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর নিজস্ব জায়গাতে দালান নির্মাণ করছেন। নির্মাণ শ্রমিকদের অস্থায়ী বসবাসের জন্য আরিফ অনুরোধ করে আমার জমিতে অস্থায়ী শেড নির্মাণ করেছিলেন। এখন তিনি এটি ভেঙে দিচ্ছেন। নজমুল হক ও এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, আরিফের নাম ভাঙিয়ে পুলিশ সদস্য আবুল খায়ের শেডের উপর বাসা ও দোকান কোঠা নির্মাণ করেছেন। আবুল খায়ের আগে মেয়রের গানম্যান ছিলেন। সেই পরিচয়ে তিনি মেয়রের নাম ভাঙিয়ে জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেছেন।
বিষয়টি মেয়রকে অবগত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক এসে স্থাপনাটি উচ্ছেদ করেছেন। এখন জায়গাটি মূল মালিকের হেফাজতে রয়েছে। এর আগে একদল পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থাপনা ভাঙার কাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেন। তখন আরিফুল হক চৌধুরী তাদের বলেন- জায়গার মালিককে অনুরোধ করে এখানে শ্রমিকদের জন্য অস্থায়ী শেড করেছিলাম। আমি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় আবুল খায়ের আমার নাম ভাঙিয়ে এই জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেছেন। আমি খবর পেয়ে এখানে এসেছি। পরে বেলা পৌণে ১ টার দিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের একটি বুলডোজার দিয়ে আধাপাকা স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন আবুল খায়েরকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। স্থাপনা ভাঙার সময় বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল ঘটনাস্থলে ছিলেন। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য অনুপ ও পংকজ এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি। তারা বলেন আমরা নিয়মিত টহলে রয়েছি। এখানে জটলা দেখে এসেছি। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে
নির্বাচিত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই ফাঁকে আমার নাম ভাঙিয়ে পুলিশ সদস্য আবুল খায়ের জায়গাটিতে এক নারীকে তুলেছে। অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করেছে সে। সে দাবি করেছে জায়গাটি তার। দাবির স্বপক্ষে সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। জায়গাটি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে আবুল খায়ের। এজন্য সে জায়গার মালিক নজমুল হককে হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আসামী করে মিথ্যে ও সাজানো নারী নির্যাতন মামলা করেছে। এটি যে সাজানো সেটি স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেছে প্রমাণিতও হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd