কোম্পানীগঞ্জের ওসির লুটপাট অভিযোগ করায় আসামি হলেন শামীম

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৮

কোম্পানীগঞ্জের ওসির লুটপাট অভিযোগ করায় আসামি হলেন শামীম

ক্রাইম ডেস্ক :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বিতর্কিত ওসি আব্দুল হাইয়ের সীমাহীন দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ করায় চুনাপাথর ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদের উপর নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ।

এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেন- কোম্পানীগঞ্জের বিতর্কিত ওসি আব্দুল হাইয়ের মদদে গোটা উপজেলাজুড়ে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর লুটপাট চলছে। গত এক মাস ধরে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এই পাথর লুটপাট চললেও ওসি আব্দুল হাই আইনের কোনো তোয়াক্কা করছেন না। টাকার নেশায় ওসির পর্যটনস্পটগুলোতেও পাথর লুটপাটকারী চক্রকে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

এসবের প্রতিকার তিনি তিনি সহ কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে গত বৃহস্পতিবার লিখিত আবেদন করেন। এই আবেদনের খবর ইতিমধ্যে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন ওসি আব্দুল হাই। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি গতকাল তার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। (মামলা নং-১১, তারিখ- ১৯/০৮/২০১৮ খ্রি. ধারা-১৪৩/৪৪৭/২৮৭/৩৭৯/৪২৭/৪৩১)

আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ দাবি করেন- তিনি কোম্পানীগঞ্জের পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি একজন চুনাপাথর ব্যবসায়ী। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি সিলেটে অবস্থান করে চুনাপাথর ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জের কোথাও তার কোনো বোমা মেশিন নেই। তার কোনো লোকও পাথর তুলছে না। অথচ পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের একটি অভিযানের পর গতকাল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে তার আপন ভাতিজা কেফায়েত সহ কয়েকজনকে। ওসি আব্দুল হাই কোম্পানীগঞ্জকে লুটেপুটে খাচ্ছেন। আর এর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাকেই মামলার আসামি করা হবে। লিলাইবাজারে পাথর লুটপাট বন্ধ করতে আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পরপরই তাকেও মামলায় আসামি করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
শামীম বলেন- ওসির বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হলে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ বসে থাকবে না। এক ওসির কর্মকান্ড কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে প্রশাসনের মুখোমুখি দাড় করাবে- এটি কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটি শতভাগ মিথ্যা মামলা। এ মামলায় চক্রান্তমুলকভাবে তাকে তার পরিবারের সদস্যদের ফাঁসানো হয়েছে। তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন। অন্যথায় কোম্পানীগঞ্জের মানুষ ওসির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..