বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ফেসবুকে খুনের হুমকী ও টাকা দাবী করে নানা ধরণের অশ্লীল স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ এনে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-৭৮৬) করেছেন সুমন উদ্দিন (৩২) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে। বুধবার থানায় এ জিডি করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আবদুল গণির চার সন্তান ইসমাইল হোসেন (২৬), জুয়েল আহমদ (২৫), সুলতানা বেগম (২৪) ও জাবেদ আহমদ (২০)।
ডায়েরী উল্লেখ করা হয়, গত ৮ আগস্ট রাত ১০টা ৯ মিনিটে অভিযুক্তরা তাদের ফেসবুক আইডিতে টাকা পায় দাবী করে সুমন উদ্দিনকে খুন করার হুমকীসহ নানা ধরণের অশ্লীল লেখা পোস্ট করে। এছাড়াও, তার ব্যবহৃত ইমুতে ফোন করে তাকে একা পেলে খুন করার হুমকী দেয়। ডায়েরীতে আরও উল্লেখ করা হয়, সুলতানা বেগম খারাপ প্রকৃতির মেয়ে হওয়ায় সে যেকোন সময় অশ্লীল ছবি সুমনের ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে তাকে ফাঁসানোরও হুমকী দেয়। এসব কারণে ভবিষ্যতে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশংকা এবং ক্ষতি হলে তার দায় অভিযুক্তদের উপরই বর্তাবে বলে ডায়েরী উল্লেখ করেন সুমন।
এব্যাপারে কথা হলে অভিযুক্তদের পিতা আবদুল গণির সাথে কথা হলে তিনি, আমার ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সর্ম্পূণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আবদুল গণির সাথে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের সুমন উদ্দিনের। ইতিপূর্বে গত ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১২টায় সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর, মোবাইল ও টাকা লুটের অভিযোগ এনে আবদুল গণির ভাতিজা তোফায়েলকে প্রধান আসামী করে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তার পিতা আপ্তাব উদ্দিন। মামলায় আবদুল গণির মেয়ে সুলতানা বেগম, ছেলে জুয়েল, ইসমাইল, জাবেদ ও স্ত্রী রাইমা বেগমের নামোল্লেখ করে আরও ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়। অভিযোগটি নিয়মিত মামলাহিসেবে নেয়ার জন্যে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে আদেশ দেন আদালত। যার বিশ্বনাথ থানার নং- ১৪ জিআর নং- ১৫৮
এর আগে, গত ২ জুলাই আবদুল গণির মেয়ে সুলতানা বেগমের কাছে পাঁচকোটি পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওনা উল্লেখ করে সেই টাকা চাওয়ার কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ খুনের হুমকী দিয়েছে অভিযোগ এনে সুলতানা, তোফায়েল, জুয়েল, ইসমাইল ও রাইমার নামোল্লেখ করে থানায় জিডি (নং ১১৩) করেন সুমন উদ্দিন। জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১০ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে অভিযুক্তরা বাড়ির পশ্চিমের রাস্তায় একা পেয়ে তাকে আক্রমণ করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে তাকে বা তার পরিবারের কাউকে সুযোগমত খুন করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়। এরপর, গত ২১ জুলাই ফেসবুকে ইংরেজী সানিয়া খান নামে ফেক আইডির মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে নানা খারাপ মন্তব্য ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ এনে আরেকটি জিডি (নং ১০৮৬) করেন সুমন উদ্দিন।
Sharing is caring!