ঈদুল আযহা সিলেটে বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে প্রচন্ড ভীড়

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০১৮

ঈদুল আযহা সিলেটে বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে প্রচন্ড ভীড়

ঈদুল আযহা সিলেটে বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে প্রচন্ড ভীড়

জালাল রব্বানী:: সারাদেশের ন্যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সিলেটেও পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। পদচারণায় মুখর সিলেটের প্রায় প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রই। সিলেট নগরী ও শহরতলীর পার্ক ও পর্যটনকেন্দ্রে বুধবার বিকাল থেকেই আজ বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।
তবে কোরবানির ঈদে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম তুলনামুলক কম হয়। নগরীর ভিতরে থাকা কাজীরবাজার সেতু, ক্বীনব্রিজ এলাকাতে মানুষের প্রচন্ড ভীড় চোখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়স্থ সিলেট ওসমানী শিশু উদ্যান, গোলাপগঞ্জের হিলালপুরের ড্রিমল্যান্ড অ্যামিউজম্যান্ট পার্ক, সিলেট বিমানবন্দর সড়কের সিলেট পর্যটন মোটেল, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড, টিলাগড় ইকোপার্কসহ, সিলেট এমসি কলেজে ছিল মানুষের আনাগোনা। শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদনকেন্দ্রগুলো। অনেকে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে ছুটছেন পর্যটন কেন্দ্রের দিকে।
বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সুরমা নদীর উপর নির্মিত কাজীরবাজার সেতুটি। নির্মল বাতাস আর মুক্ত নিঃশ্বাসের সুযোগ নিতে ভিড় করছেন শত শত পর্যটক। ব্রিজের দুই পাশে সারিবদ্ধ পর্যটকদের ভিড় আর আড্ডায় মুখর হয়ে উঠেছে সেতুটি।
সিলেট ওসমানী শিশু পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলের দিকে দর্শনার্থীদের চাপ বেড়ে যায়। শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা করছেন তারা।
এদিকে, ড্রিমল্যান্ড পার্কেও বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ভ্রমণ পিয়াসিদের ভিড় শুরু হয়। বিশেষ করে এখানকার ওয়ার্টারপার্ক বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহমদ বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আমার ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। নগরীর কাজীরবাজার ব্রিজ, ক্বীনব্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। ড্রিমল্যান্ড পার্কে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
অন্যদিকে নগরী ও শহরতলির বিনোদনকেন্দ্রগুলো ছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি, জাফলং, পান্তুমাই ও জৈন্তাপুরের লালাখালেও তরুণ-তরণীদের ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়েও এসব স্থানেও ঘুরতে এসেছেন। আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন এসবস্থানে ভ্রমণ পিয়াসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..