গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের অবশ্যই বিচার হতে হবে

প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৮

গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের অবশ্যই বিচার হতে হবে

গত বছর আগস্টে প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, ধর্ষণ, খুনসহ বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

তবে বরাবরই মিয়ানমার জাতিগত নির্মূলের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং তারা বলছে যে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাব দিতে এটি করা হয়েছিল।

তবে এই ঘটনায় জাতিসংঘের তদন্তকারি কমিটি বলেছে, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাইংসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের গণহত্যার জন্য অবশ্যই তদন্ত ও বিচার হতে হবে।

তারা বলেছে, রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের জন্যও তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারের জন্য অভিযুক্ত করা উচিত।

২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত এই তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্টেও উপসংহারে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, তাতমাদু (মায়ানমার সেনাবাহিনী)-র চেইন অব কমান্ডের মধ্যেই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত ও বিচারের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে অপরাধ, এবং যে পদ্ধতিতে তারা নিপীড়ন চালিয়েছিল তার গতি প্রকৃতি ও গভীরতা অন্যান্য গণহত্যার মতই।

তদন্তকারীরা মিন আহং হ্লাইং এবং পাঁচজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারের নাম উল্লেখ করে বলেন, কোনও দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও মানদন্ড অনুসরণ করে নামের আরো দীর্ঘ তালিকা তাদের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..