বিশ্বনাথের চরচন্ডি নদী অবৈধ দখলদারের হাতে

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৮

বিশ্বনাথের চরচন্ডি নদী অবৈধ দখলদারের হাতে
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের বাসিয়া নদী থেকে চরচন্ডি নদী উৎপত্তি হয়। বিশেষ করে বিশ্বনাথ ইউপি, দৌলতপুর ইউপি, দশঘর ইউপি জুড়ে রয়েছে চরচন্ডি নদী। বাসিয়া নদীর পারে বিশ্বনাথ নতুন বাজার টি এন্ড টি রোডে মুক্তিরগাও থেকে শুরু হয়ে- হাবড়া বাজার, দশঘর বাজার, নিউ মার্কেট, চাউলধনি হাওর হয়ে মাকুন্দা নদীতে মিলিত হয়েছে। চাউলধনি হাওরের ও আশপাশের ৩ ইউনিয়নের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনে একমাত্র পথ চরচন্ডি নদী। এক সময়ের খরস্রোতা চরচন্ডি এখন মরা খাল! এই নদীটি ৮০-১২০ ফুট প্রস্হ ছিল, বড় বড় লঞ্চ, ইঞ্জিনের নৌকা, পাল তোলা নৌকা, সারি নৌকা চলাচল করতো। এ এলাকার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল নৌকা। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে মানুষ চলতো। এখন চরচন্ডি নদীর তীরে পাকা রাস্তা হয়েছে, বাজার হয়েছে, স্কুল- মাদ্রাসা হয়েছে, চাউলধনি হাওড় পাড়ে কলেজ হচ্ছে। কিন্তু অবৈধ দখলবাজ চরচন্ডি নদীর তীর দখল করে দোকান পাট তৈরী করে নদী নাব্যতা গিলে খেয়েছে। এখন নদীটির প্রস্হ ১০-২০ ফুট আছে। যার ফলে নৌকা তো দূরের কথা- হাওরের পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না, অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। প্রতি বছর কৃষকের কান্না দেখতে হয়! যে হাওরের ধান দিয়ে পুরো উপজেলার একমাসের খাবার হয়, সেই হাওরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র জল পথ চরচন্ডি নদী বিলিন করে দিয়েছে অবৈধ দখলবাজ। নদীর তীরে অবস্থিত পুরান হাবড়া বাজার, নতুন হাবড়া বাজার, দশঘর বাজার, নিউ মার্কেট সহ অনেক ঘর বাড়ি করার মহোৎসব মনে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ- চরচন্ডি নদী ভরাট করে অবৈধভাবে দালান কোঠা তৈরী করছে প্রভাবশালী মহল, ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। যার যার মতো দোকান কোঠা তৈরী করছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করে আসছেন। চরচন্ডি নদী দেখার কেউ নেই। যেন দেশে কোন আইনের শাসন নেই। গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের কর্মকর্তা সিলেট জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি)র সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ অঞ্চলের মানুষ বাঁচতে চায়, কৃষক বাঁচতে চায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে চায়, জলাবদ্ধতা’র হাত থেকে বাঁচতে চায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..