মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক যেন মৃত্যু মিছিলে পরিণত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে আজ ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মহাসড়কের দক্ষিন সুরমা থেকে ওসমানীনগর এলাকা পর্যন্ত শিশু ও ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক লোক। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার ২৮আগষ্ট সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে ঢাকাগামী বাস চাপায় কামরুল ইসলাম (৪৩) নামের একজন ফার্মেসী ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ওই দেড় মাসের ভেতরে শিশুসহ আরও ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- গত ১৫ জুলাই দক্ষিণসুরমা উপজেলার সাতমাইল নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মাহবুব হোসেন (৩০), কাজল পাত্র (৩৫) ২জন। গত ২৭ জুলাই ওসমানীনগর এলাকায় মারা যান আমির আলী (৪০), আরব আলী (২৩), আনছার আলী (২৬), পারভিন আক্তার (২৮), শিশু কন্যা জাহানার বেগম (১০), আনফর আলী (৪৫) ও সিরাজ আলী (১৮)। চলতি মাসের ১৫তারিখে দক্ষিণ সুরমার অতিরবাড়ি নামক স্থানে আল আমিন (২২), সামছ উদ্দিন (১৭) ও ১৮তারিখে দক্ষিণ সুরমার বরাউট নামক স্থানে সিরাজুল ইসলাম আলফু (৪১) সহ সড়ক দুর্ঘটনায় ওই ১৪জনের মৃত্যু হয়েছে।
মহাসড়কের লালাবাজারে গত ১৫ দিনের মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন ৪জন। তাদের মধ্যে সর্বশেষ মঙ্গলবারে লালাবাজারে বাস চাপায় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম নিহতের পর স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় আড়াই ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন। তারা ঘাতক বাস, চালক’কে আটক করা, স্প্রিট ব্রেকার নির্মণ ও লালাবাজারে সার্বক্ষনিক ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে বাংলাদেশ আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দেন জনতা।
Sharing is caring!