সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সিলেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানে গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস রয়েছে। ক্রমাগতভাবে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুন্নের পথে। ইন্সটিটিউটের তৎকালীন অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার বসু ইন্সটিটিউটের সুনাম রক্ষা করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করছেন। এই ইন্সটিটিউটে বিগত ১৩/১৫ মাস যাবৎ শুরু হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এর জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা ও ইন্সটিটিউট’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা দায়ী করছেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহকে।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের রয়েছে নানা অভিযোগ। কলেজের প্রশাসনিক সকল সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি প্রসাশনিক কমিটি করা হয়েছিলো। তৎকালিন অধ্যক্ষ সুশান্ত কুমার বসু চলে যাওয়ার পর থেকে সেই কমিটির কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। এই বিষয়ে কমিটিতে থাকা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয় আসার পর থেকে আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। অধ্যক্ষ বলেন, তিনি জানেনই না এ ধরনের কোনো কমিটির কথা।
অথচ ইন্সটিটিউটে কোনো সমস্যা হলে কমিটিতে থাকা স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সমাধান হয়েছে এ ধরনের অনেক নজির রয়েছে এই ইন্সটিটিউটে। অনেকেই আবার বলছেন অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত কঠোর নিরাপত্তার বেড়াজালে বন্দি থাকেন। তার সাথে দেখা করতে গেলে অনেক চড়াই-উতরাই পের করে যেতে হয়। সম্মুখে বসার পর নানা প্রশ্ন। কেনো আসছেন কি কারণে আসছেন এ ধরনের প্রশ্নই সবচেয়ে বেশি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে কোনো প্রয়োজনে গেলে ঘন্টা খানিকের আগে সাক্ষাত পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। দুর্নীতি লুটপাট সন্ত্রাসী আখড়ায় পরিণত হয়েছে ইন্সটিটিউট। অধ্যক্ষ’র কাছে জিম্মি হয়ে আছেন প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক ও কর্মচারী। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন শিক্ষক জানান, তিনি বিগত সময় এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বপালন করেছিলেন। সেই সময় তার সাথে যে সকল শিক্ষকরা নানা কারণে সমস্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে এই প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার দুর্নীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার দূর্নীতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী।
স্থানীয় খোজারখলার এক বাসিন্দা জানান, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সকল ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত। তিনি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাম করে অর্থ আত্মসাৎ সহ সকল ধরনের দুর্নীতি করে এই সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন করছেন। প্রতিষ্ঠানের অধিনে রয়েছে একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল। যার নাম সবুজ কুড়ি কিন্ডার গার্ডের স্কুল এই স্কুলে পড়াশুনা করে আসছেন স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ছেলে-মেয়ে। প্রতিষ্ঠানের জায়গায় স্কুলটি হওয়ায় ক্ষমতাবলে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। বিগত দিন দায়িত্বপালন কালে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে মাসিক সভা থেকে শুরু করে অডিট পর্যন্ত হয়েছে। সকল শিক্ষার্থীদের অভিবাবক ও কমিটির বাকি সদস্যদের সাথে আলাপ করে সকল সিদ্ধান্ত এবং অর্থের হিসেব প্রদান করা হতো। তিনি আসার পর প্রায় দেড় বছর যাবত এধরনের কোন প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্কুল ফান্ডে থাকা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার কোন হিসাবও প্রদান করেন নি। তিনি ২টি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্থ করে রেখেছেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে তিনি কলেজের কাউকে কিছু না বলে গভীর রাতে প্রতিষ্ঠান পুকুর থেকে জেলে দিয়ে মাছ মেরে বিক্রয় করেন। তার বিরুদ্ধে কলেজের নানা ধরনের যন্ত্রপাতি বিক্রয়ের অভিযোগও রয়েছে। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
বিষয়গুলো নিয়ে ইন্সটিটিউট’র অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র সাথে সরাসরি দেখা করতে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পাওয়া যায় নি। সরকারী নাম্বারগুলোতে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd