সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৮
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে বিয়ে করতে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে মনতাজ আলী (৫০) নামের এক বরের। দিনভর পুলিশের হেফাজতে থেকে অবশেষে পৌর কাউন্সিলরের কাছে বিয়ে না করার শর্তে বন্ড স্বাক্ষর করে মুক্ত হয় বর মনতাজ আলী। অসম বিয়ে করতে এসে মনতাজ আলী বেরশিক পুলিশের ফাঁদে পড়ে কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়। এ ঘটনায় কনে বাড়ির এলাকা ও অফিস পাড়ায় এক মুখরোচক গল্পের অবতানা হয়।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে ছাতক শহরের মোগলপাড়া এলাকায়। বিয়ে পাগল মনতাজ আলী দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামের মৃত হাসমত আলীর পুত্র। ৪ সন্তানের জনক বর মনতাজ আলীর দু’কন্যাকে ইতিমধ্যেই বিয়ে দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ছাতক শহরের মোগোলপাড়া গ্রামের দিনমজুর জয়নাল মিয়ার কন্যা সুজেনা বেগমের (১৩) সাথে অর্ধশতবর্ষী মনতাজ আলীর বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য্য করা হয় পারিবারিকভাবে। বুধবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হলে ও বিয়ের একদিন আগেই কণের বাড়িতে এসে হাজির হয় বর মনতাজ আলী।
এমন অসম ও বাল্য বিয়ের বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে এলাকার লোকজন কোনভাবেই এ বিয়ে মেনে নিতে পারছিলেন না। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করলে ছাতক থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বুধবার সকালে কণের বাড়ি থেকে বর মনতাজ আলী ও বরের বিয়ের স্বাক্ষী শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার আরব আলীর পুত্র নিজাম উদ্দিন (২৬)কে আটক করেন।
পড়ে বর ও স্বাক্ষীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারীর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোনিয়া সুলতানার ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করানো হয়।
সন্ধ্যায় তাদের মহিলা কাউন্সিলর মিলন রানী দাসের মাধ্যমে আর বিয়ে না করার শর্তে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করে বর মনতাজ আলী ও স্বাক্ষী নিজাম উদ্দিন মুক্ত হয়।
পৌর মহিলা কাউন্সিলর মিলন রানী দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd