সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৮
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলকে অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বরখাস্ত করার আদেশ এবং তদসংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষনা করে কেন ওই আদেশসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে অবৈধ ঘোষনা করা হবে না মর্মেও- রুল জারি করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলের রিট আবেদনের শুনানী শেষে গত বুধবার হাইকোর্ট ডিভিশন ব্রাঞ্চের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওই আদেশ দেন। রুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব, উপ সচিব, সুনামগঞ্জের ডিসি ও ছাতকের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৭ জনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাদির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আদেশের ফলে ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেল স্বপদেই বহাল থাকলেন।
১৫ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ইফতেখার আহমদ চৌধুরী সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে (স্মারক নং ৫৯৫) ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চাউলী হাওরের বাধেঁর অতিরিক্ত বিল আদায়ের জন্য গত ১৭ মে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছির উল্লাহ খান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেনকে প্রায় ৫০ মিনিট অবরুদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন। এছাড়া প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুকে লাইভের ঘটনা দুটি মামলা করা হয়েছে (যদিও মামলা দুটি ২০১১ ও ১৭ সালের)। স্থানীয় সরকার আইন (ইউনিয়ন পরিষদ) ২০০৯ এর ৩৪ (৪) ধারা অনুযায়ী অসাদাচারণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে বরখাস্তের চিটিতে উল্লেখ করা হয়।
উক্ত বরখাস্ত আদেশের বিরুদ্ধে সাহেল গত ৬ আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট (পিটিশন নং ১০৪৮৫) করেন। রিটের শুনানী শেষে বুধবার বরখাস্তের আদেশকে অবৈধ ঘোষনা করে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। আবেদনকারীর পক্ষে রিটের শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ও অ্যাডভোকেট শামীম খান।
অ্যাডভোকেট শামীম খান জানান, আদেশের ফলে বরখাস্তের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলই দায়িত্বে থেকে গেলেন। কারণ আদালত বরখাস্তের ওই আদেশ অবৈধ বলেছেন। তিনি আরও বলেন, যে অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেটা স্থানীয় সরকার আইনে পড়েনা। জনপ্রতিনিধিরা যে কোনো বিষয়ে প্রতিবাদ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। এদিকে সাহেল জানিয়েছেন, আদেশের সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করেছেন। দু’একদিনের মধ্যে কপি পাবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd