বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে সুমন উদ্দিন (৩২) নামে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর, তার মোবাইল ও টাকা লুটের অভিযোগ এনে ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তার পিতা উপজেলার দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের আপ্তাব উদ্দিন। বিশ্বনাথ থানা মামলা নং-১৪ (১৩/০৭/১৮ইং), জিআর নং -১৫৮। এর আগে, গত ১০জুলাই সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে অভিযোগ দেন আপ্তাব উদ্দিন। অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার জন্যে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আবদুল গণির ছেলে তোফায়েল আহমদ (২৭), আবদুস শহিদের স্ত্রী সুলতানা বেগম (২৪), আবদুল গণির ছেলে জুয়েল (২২), ইসমাইল (২৪), জাবেদ (২১), আবদুল গণির স্ত্রী রাইমা বেগম (৪৫)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখিত আসামীদের সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে সুমন উদ্দিনের। এর জেরে গত ৬ জুলাই রাত ১২টায় স্থানীয় বাজার হতে ফেরার পথে বাড়ীর সামনের রাস্তায় আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে সুমনের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার সাথে থাকা আর্থিক লেনদেনের চুক্তিপত্র, ডকুমেন্ট ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। সুমনের আত্মচিৎকারে তার পিতা ও আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট ফেসবুকে খুনের হুমকী ও টাকা দাবী করে নানা ধরণের অশ্লীল স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ এনে আবদুল গণির চার সন্তান ইসমাইল হোসেন (২৬), জুয়েল আহমদ (২৫), সুলতানা বেগম (২৪) ও জাবেদ আহমদ (২০) বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-৭৮৬) করেন সুমন উদ্দিন। ১৯ আগস্ট আরেকটি জিডি (নং-১০৫৪) করেন তিনি। এছাড়া, গত ২ জুলাই আবদুল গণির মেয়ে সুলতানা বেগমের কাছে পাঁচকোটি পঞ্চাশ হাজার টাকা পাওনা উল্লেখ করে সেই টাকা চাওয়ার কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ খুনের হুমকী দিয়েছে অভিযোগ এনে সুলতানা, তোফায়েল, জুয়েল, ইসমাইল ও রাইমার নামোল্লেখ করে থানায় একটি জিডি (নং ১১৩) এবং ২১ জুলাই ফেসবুকে ইংরেজী সানিয়া খান নামে ফেক আইডির মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে নানা খারাপ মন্তব্য ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ এনে আরেকটি জিডি (নং ১০৮৬) করেন সুমন উদ্দিন।
Sharing is caring!