সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
আজ ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৮ইংরেজী। আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা চেতনা সমাজ রাষ্ট্র রাজনীতি দর্শন অর্থনীতি আইনের শাসন গনতন্ত্র মানবাধিকার মুল্যবোধ স্বনির্ভর দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ১৯৭৮ ইংরেজী সনের ১লা সেপ্টেম্বর- রাজধানীর রমনা রেস্তোরায় স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্রের অন্যতম স্থপতি আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার মহান স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্টা করেছিলেন বিএনপি।
“সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস, “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র” (অর্থনৈতিক ও সমাজিক ন্যায়বিচারের অর্থে) এই ৪ মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। দলটির লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গণতন্ত্রায়ন, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য এবং জনগণের মধ্যে স্বনির্ভরতার উত্থান ঘটানো। এ মুল ৪ নীতির উপর ভিত্তি করে জিয়াউর রহমান তার ঐতিহাসিক ১৯ দফা কর্মসুচী ঘোষণা করেন।
বিএনপি হাটি হাটি পা পা করে আজ পুর্ন হলো বিএনপি প্রতিষ্টার ৪০টি বছর। ৪০ বছরের এই কঠিন দুর্ঘম পথ পাড়ি দিতে অনেক ইস্পাত কঠিন সময়ের সম্মুখীন হয়ে বার বার দেশী বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মনে জিয়াউর রহমান ও তার প্রতিষ্টিত দল বিএনপি স্বগৌরবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সৃষ্টিতে বিস্ময়, কাজে দূরন্তপনা দেশাত্ববোধের প্রেরণায় দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় অগ্রহনী ভুমিকা রাখায় সাধারন মানুষ তথা দেশবাসী আজ ও বিএনপি একটি গনমুখী সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে স্বীকৃত।
বিএনপি ভালোবাসার অগ্নিশিখায় সৃষ্টি করেছে লক্ষ লক্ষ দেশপ্রেমিক নেতা,সৃষ্টি হয়েছে অসম সাহসী অন্যায়ের প্রতিবাদী লক্ষ লক্ষ সাহসী যোদ্ধা।
দীর্ঘ ৪০ বছরে দূর্ঘম পথ পাড়ি দিতে
বিএনপি অনেক ত্যাগী ও সাহসী যোদ্ধা কে হারিয়েছি ঠিকই কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট বা আদর্শ থেকে সরে যায়নি কেউ এমন কি পথ ভূলে ও যায়নি কোন সৈনিক।
অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বিএনপি সাহস শক্তি সামর্থ নিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছে বার বার। যারা বিএনপির সাথে বেঈমানী করে ভিন্ন পথে হেটেছে,তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
বর্তমান ক্ষমতসীন সরকার বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে বাংলাদেশ এর ইতিহাস থেকে চিরোতরে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন কলা কৌশলে অপকৌশলে বিএনপি নেতা কর্মীদের দমন পীড়নে হাজার হাজার নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করে এমন কি গুম ও খুনের শিকার হয়ে ও বৃহৎ এ দলের অগ্রযাত্রাকে মোটেও দমন করতে পারেনি। বিএনপি কে প্রতিষ্টা করতে অনেক নেতা কর্মী এমনকি এক একজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ১০০/১৫০/এমন কি ১৭০টির বেশী মিথ্যা মামলা রয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজির দৃষ্টান্ত।
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক তিন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সুপরিকল্পিত সাজানো মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন থেকে একটি নির্জন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। উচ্চ আদালতে সাজা কৃত মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পেলে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে বেগম জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না। বেগম জিয়া বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নেত্রী তা সর্বজন স্বীকৃত। সরকার বেগম জিয়াকে মিথ্যা বানোয়াট হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে বন্দি রেখে আরো ও বেশী জনপ্রিয় করেছে। কারন এখন বাংলাদেশের সাধারন মানুষ পুর্বের চেয়ে আরো ও বেশী সচেতন। দেশের শাসন ব্যবস্থা কেমন চলছে আপনার আমার চেয়েও দেশের সাধারন মানুষ বেশী জ্ঞান রাখেন।
বাংলাদেশের লক্ষ কোটি সন্তানের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন নীতি মানষিক শক্তি আর বিএনপির লক্ষ কোটি নেতাকর্মীর ইস্পাত কঠিন সুদৃঢ় ঐক্য কাপন ধরছে সরকারের মনে।
ক্ষমতাশীন সরকার মনে করেছিলো বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দি করা হলে বিএনপি ভেংগে চুরমার হয়ে যাবে। কিন্তু বেগম জিয়া বন্দি হওয়ায় বিএনপি আরো বেশী শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপি পুর্বের চেয়ে আরো ও বেশী ঐক্যবদ্ধ তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সরকারের দমন পীড়ন অন্যায় ভাবে নেতা কর্মীকে জেল জুলুম ও নির্যাতন করায় বিএনপি শুধু বাংলাদেশে নয় এশিয়া মহাদেশে সর্ব বৃহৎ একটি শক্তিশালী গন সংগঠন হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।
রাজনীতির আকাশে কালো মেঘের পরিবর্তনে হঠাৎ বৃষ্টি হয়তো ধূয়ে নেবে কিছু অন্যায় অবিচার। কিছু পরিবর্তন অপ্রত্যাশিত।
আজকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। দলের আদর্শ দেশপ্রেম ধারণ করে শুরু থেকে এই পর্যন্ত বিশাল কাফেলার নেতৃত্ব দিয়ে, অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে লক্ষ কোটি কর্মী সমর্থক সৃষ্টি করেছে।
“আমেরিকার সংবিধান প্রণেতা টমাস জেফারসনের” একটি উদ্ধৃতি ছিল “অবিচার যখন আইন হয়ে দাঁড়ায়,তখন প্রতিরোধ হয়ে যায় কর্তব্য”।
বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীর অংগিকার হউক- আসুন সম্মিলিত প্রয়াসে বেগম জিয়ার মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা গনতন্ত্র,আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্টার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই এবং দেশে শান্তি প্রিয় ও উৎসব মুখর পরিবেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহন যোগ্য একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিষ্টা করি। বিএনপির দলীয় সংগীত এর সুরে বলতে চাই–প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ,জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ।।
লেখকঃ এড. আসলাম মুমিন, বিএনপি সিলেট জেলা শাখার প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd