বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ৮টি গ্রামবাসীর চলাচলের সরকারী রাস্তার প্রবেশ মুখে প্রভাবশালী ব্যাক্তির গেইট নির্মাণ নিয়ে একটি গোষ্টি ও এলাকাবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় উভয় পক্ষে মুখোমুখি সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের এই বিরোধ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার সালিশ বৈঠক করলেও তার কোনো সুরাহা হয়নি। এনিয়ে কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষের লোকজন রয়েছেন মারমুখি অবস্থানে। শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে থানার ওসি শামছুদ্দোহা পিপিএম’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এসময় তিনি রোববার সকালে উভয় পক্ষের ৫জন করে কাগজপত্র সহকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দেন। এমন মারমুখি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে।
প্রায় মাসখানেক ধরে গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র ফয়সল আহমদ (৪৩) তার গোষ্টি নিয়ে জোরপূর্বক খাজাঞ্চি রেলস্টেশন-মুফতিরবাজার সড়ক থেকে সংযোগ ‘হোসেনপুর-রাজাগঞ্জবাজার রাস্তার প্রবেশ পথে স্থায়ীভাবে একটি গেট নির্মাণ করছেন। এতে ওই রাস্তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৮টি গ্রামের মানুষ প্রতিবাদি হয়ে ওঠেন। গত ৬আগষ্ট এলাকার লোকজন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে দেন। কিন্তু অভিযোগটি তদন্তের ভেতরেই নিজের প্রভাব দেখিয়ে গেটের কাজ সম্পন্ন করছেন ফয়সল আহমদ।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, পূর্ব প্রয়াগ মহল (হোসেনপুর) মৌজার ১নং খতিয়ানের ৩০১নং দাগের রয়েছে ওই রাস্তাটি। যুগযুগ ধরে ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৮টি গ্রামের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ চলাচল করে আসছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার ওই রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে সংস্কার কাজও করানো হয়েছে। বিগত ২০০৮সালে একইভাবে ফয়সল আহমদ তার গোষ্টি নিয়ে রাস্তার প্রবেশ পথে গেট নির্মাণ করতে গেলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে গেটের কাজ বন্ধ করেন। তিনি আবারও প্রায় মাসখানেক ধরে এই গেট নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে ওই রাস্তা দিয়ে ৮টি গ্রামের জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা চলাচলে চরমভাবে বাঁধাগ্রস্থ হবেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এদিকে গ্রামবাসীর পক্ষের অভিযোগে স্বাক্ষরকারী আশিকুর রহমান রানা (কাঁচা) কে হুমকিও দিয়েছেন ফয়স আহমদ গংরা। এঘটনায় তিনি শুক্রবার রাতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীর জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে নিরব। এব্যাপারে ফয়সল আহমদ দাবি করেন, ওই রাস্তাটি তাদের রেকর্ডিয়। আর এলকাবাসীর দাবি ওই রাস্তাটি সরকারের খাস খতিয়ানের। জানতে চাইলে স্থানীয় খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তফশিলদার শুকুর আহমদ বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তদন্ত করেছেন। ওই রাস্তাটি সরকারী খাস খতিয়ানে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে তিনি উপজেলা ভুমি অফিসে একটি প্রতিবেদনও দিয়েছেন।
Sharing is caring!