সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট আবারো কালোবাজারীদের হাতে। সিলেট বিভাগের রেলপথের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ জংশন।
হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মানুষ রেলপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন। তাই বিভাগের মধ্যে এই জংশনটির গুরুত্ব অনেক বেশি। রেলওয়ে জংশনের রিমডেলিং কাজ ২০০৫ইং সালে শেষ হলে একটি আধুনিক স্টেশনে রুপান্তরিত হয় শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন।
ঢাকা-সিলেট রেলপথে আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস, জয়েন্তিকা , কালনী, উপবন ট্রেন ও সিলেট-চট্টগ্রামে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের টিকেট বিক্রি হয় সকাল ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত। কিন্তু কিছু দিন টিকেট কালোবাজারে বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে কালোবাজারীর মাধ্যমে টিকেট বিক্রি। এর সাথে জড়িত রেলওয়ে লেবার থেকে কর্মকর্তা পর্যন্ত। এমনিতেই এই জংশনটি প্রত্যেকটি ট্রেনের পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকেট না থাকায় স্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে টিকেট নিয়ে যাতায়াত করছে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীরা।
সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরে পাহাড়িকা ট্রেনের টিকেট নিতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে যাত্রীরা। অন্যদিকে স্টেশনের ভেতরে সহকারী মাস্টারসহ লেবাররা টিকেট বিক্রি করছে নির্দ্বিধায়। কাউন্টারে টিকেট না পেয়ে অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে কালোবাজারীর কাছ থেকে টিকেট নিচ্ছেন। বাদ যায়নি স্থানীয় সাংবাদিকসহ অনেকেই। এমন অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ২৯ শে আগস্ট পারাবতের টিকেট কিনতে যায় স্থানীয় এক সাংবাদিক। কাউন্টারে টিকেট না পেয়ে সহকারী মাস্টার পলাশ শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকাগামী একটি টিকেট যার মূল্য ৪শ টাকা কিন্তু মাস্টার ৬শ টাকা নিয়েছে টিকেটটির দাম। ২৯ তারিখের টিকেট ২০ তারিখ কাউন্টার থেকে কেটে নেওয়া হয়।
এই বিষয়টি স্টেশন মাস্টার সাইফুল আলমকে জানালে তিনি বলেন, টিকেট কালোবাজারীর সাথে স্টেশনের যারাই জড়িত হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানায়, টিকেট কালোবাজারীর সাথে লেবার সরদার সাদ্দাম ও হুমায়ূন জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের পারাবতের ৩০টি চেয়ার সীট, জয়েন্তিকা ট্রেনের ৩০টি চেয়ার, ৬টি ১ম শ্রেনীর, কালনী ট্রেনের ২০টি চেয়ার ২৫টি শোভন, উপবনের ২০টি শোভন, ২০টি চেয়ার, ৪টি ১ম শ্রেনীর। চিটাগাংগামী পাহাড়িকা ৩৫টি শোভন সীট, উদয়নে ৩৫টি শোভন সীট মোট ২৪০টি সীট শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে বরাদ্দ রয়েছে। টিকেট কালোবাজারী বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd