সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতার্মীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত সোমবার সিলেটের ওসমানীনগর, গোয়াইনঘাট ও বিয়ানীবাজার থেকে ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত সোমবার রাতে ওসামানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদের করনসীস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। নাশকতার পরিকল্পনাকালে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ওসি। এদিকে, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। অন্যদিকে, গত সোমবার ভোরে বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়েজ আহমদকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে জকিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার অভিযোগে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওসমানীনগরে নাশকতার পরিকল্পনাকালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ১৬ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ কওছর আহমদের করনসীর গ্রামের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ নিশ্চিত করছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান। আটকৃতরা হলেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোতাহির আলী, সাধারণ সম্পাদক ও দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ কওছর আহমদ, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, কয়েছ আহমদ চৌধুরী, ইরশাদ উদ্দিন জিলু, আব্দুল মান্নান, কামাল আহমদ পারভেজ, হাদিস খান, কমরু মিয়া, সারজন মিয়া, শরিফ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল কালাম, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকিব আলী ও আতিকুল আলম। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। রোববার রাতে ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায়ের নেতৃত্বে সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজিউল্লাহ, এসআই জুনেদ, এসআই আনোয়ারসহ একদল পুলিশ উপজেলা সদরে অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহবায়ক ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএম কামাল উদ্দিন, লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার ও জামায়াত কর্মী কাজী ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা স’মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত কর্মী কামাল উদ্দিন। গত সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা ছিল। এদিকে, এসব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট কামরুজ্জামান সেলিম। এদিকে, বিয়ানীবাজার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়েজ আহমদকে গত সোমবার ভোরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পৌরসভার কসবা গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিয়ানীবাজার থানায় দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে, রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও বিক্ষোভে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে জকিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুশ শাকুরকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত দেড়টার দিকে জকিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে। এছাড়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। গত সোমবার নগরীর খাসদবির ইলাশকান্দি এলাকার উদয়ন ৪২নং বাসা থেকে তাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবদুল ওয়াহাব তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামুনকে আটক করা হয়েছে।’ তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় শহীদুল ইসলাম মামুনকে আটক করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd