সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের বহুল আলোচিত একাধিক মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেলসহ ৭ জনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আইন আদালতের বিচারক মো. দেলোয়ার হোসেন এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ছাতক উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা শেষে উপজেলা চত্বরে আরেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার উপর অতর্কিত চড়াও হন ইউপি চেয়ারম্যান সাহেল ও তার লোকজন। প্রকাশ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট দ্রুত বিচার আইনে সাহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন বিল্লাল আহমদ।
মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- কামারগাঁও গ্রামের আবুল হাসনাত (২৮), গহরপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৩০), কালিপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৩০), গহরপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩২), কালিপুর গ্রামের আবুল খয়ের (৪০) ও সাতগাও গ্রামের শাহিন মিয়া (৩৫)। আদালত প্রধান আসামি সাহাব উদ্দিন সাহেলসহ সাতজনকেই দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জুলাই ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক লাইভে ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন সাহেল একজন সরকারি কর্মকর্তাকে কুত্তা বলেও সম্বোধন করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠিত হলে কমিটি তার বিরুদ্ধে ইউএনওকে লাঞ্চিত করার প্রমাণ পায়। পরে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ১৫ জুলাই সাহেলকে পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউটর ড. খায়রুল কবীর রোমেন বলেন, দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলসহ ৭ জনকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd