বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে উপজেলার পালেরচক গ্রামে বুধবার দিবাগত রাতে গরু চুরির সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে ‘রিপন আহমদ’ নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন খবর পাওয়া গেছে। আহত পুলিশ কনস্টেবল রিপন আহমদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় ফিরেছেন। পালেরচক গ্রামের মৃত রইছ মিয়ার পুত্র শামিম মিয়ার দায়ের করা গরু চুরির মামলার (যার নং ০৬, তাং ৬.০৯.১৮ইং) সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর আলম আচমকা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় তার (নূর) সাথে পুলিশের দস্তাদস্তি হলে ওই পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার পালেরচক গ্রামের মৃত ইছবর আলীর পুত্র নূর আলম (৩৫), লুৎফুর রহমান (৩০)। গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পুলিশের খাঁচায় বন্দি থেকেও গ্রেফতরাকৃত দুই ভাই বাদী পক্ষের ৩/৪ জন ব্যক্তিকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট দিবাগত ভোররাতে শামিম মিয়ার প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৪টি গরু চুরি হয়। পরদিন সকাল ৮টার দিকে শামিম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে নূর আলম তাকে (শামিম) জানায় টাকা দিলে সে (নূর আলম) চোরাইকৃত গরুগুলো উদ্ধার করে দিতে পারবে।
শামিম মিয়ার দাবি, নূর আলম ও তার ভাই লুৎফুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ‘চোর ও ডাকাত’ দলের সক্রিয় সদস্য। তারা চুরি-ছিনতাইয়ের পাশাপাশি নিজস্ব সিএনজি দিয়ে মদ-গাঁজা পাচার করে থাকে। এমন কি রামপাশা এলাকায় যে কারো গরু চুরি হওয়ার পর টাকার বিনিময়ে তারা সেই চুরি হওয়া গরুগুলো উদ্ধার করে দেয়। চুরির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলে তা কিভাবে পারে তারা।
এব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবী হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে দস্তাদস্তিতে থানার হওয়া আসামিদের দস্তাদস্তিদে রিপন আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেফতারের পর বিকেলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Sharing is caring!