বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: পুলিশের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পরপরই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবার কেউ কেউ গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলা সদরের ৪টি পৃথক স্থানে একই সঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড, নতুন বাজারস্থ লাইটেস স্ট্যান্ডের সামন, রামপাশা রোডের আব্দুল খালিক কমিউনিটি সেন্টারের সামন ও বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর রোডের আঙ্গারুখা ব্রিজ নামক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। তবে কে বা কাহারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তা জানা যায়নি।
পরদিন গত রোববার রাতে বিশ্বনাথ থানার এসআই সবুজ কুমার নাইডু বাদী হয়ে ৬০-৭০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রেখে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। তবে গতকাল বুধবার বিকেলে এপ্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
গত রোববার রাতে উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। এতে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করে। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে বিশ্বনাথ বিএনপি। ওইদিন রাতে উপজেলা সদরের ৪টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন উপজেলা সদরের রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীকে হয়রানী করা হচ্ছে। প্রতি রাতে দলীয় নেতাকর্মীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাসি চালাচ্ছে। ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রেপ্তার আতংকে রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অভিলম্ভে আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান তারা।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা সাংবাদিকদের বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!