মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে অজ্ঞাতনামা কিশোরীর হাত বাঁধা ও গলায় উড়না পেছানো লাশ পাওয়া গেছে। নিহত ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৫/১৬ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (১০সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের তবারক আলীর বাড়ীর সামনে পাঠাকইন-রামচন্দ্রপুর রাস্তার পার্শ্বে এই লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এসময় স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছেন। এরপর সিলেট থেকে সিআইডি’র ক্রাইম সিন এর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল মিয়া জানান, পাঠাকইন গ্রামের তবারক আলীর বাড়ির সামনের নির্জন রাস্তায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর কে কা কাহার ওই অজ্ঞাতনা কিশোরীর হাত বাঁধা ও গলায় উড়না পেছানো লাশ ফেলে যায়। রাত ৯টায় গ্রামের দুটি শিশু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে লাশটি দেখতে পেয়ে তারা দৌড়ে গিয়ে তবারক আলীকে বিষয়টি জানায়। এসময় তবারক আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে (ইউপি সদস্য) বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ সহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছেন। এরপর আলামত সংগ্রহের ও পুলিশকে সহযোগীতা করতে সিলেট থেকে সিআইডি’র ক্রাইম সিনের কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় এর নেতৃত্বে রাত ১২ টায় ক্রাইম সিন’র একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ মর্গে প্রেরণের প্রস্ততি চলছে বলে জানা যায়।
এব্যাপারে সিআইডি’র ক্রাইম সিনের কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে কোন আলামত পাইনি। নিহত মেয়েটির বসয় ১৫/১৬ বছর হবে বলে আমাদের ধারণা। তবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, নিহত মেয়েটির গলায় একটি চেইন পাওয়া গিয়েছে। তবে তা স্বর্ণের কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আলাতম সংগ্রহের জন্য সিআইডি’র ক্রাইম সিন এর সদস্যরা এসে তথ্য সংগ্রহন করেছেন। অজ্ঞাতনামা মেয়েটিকে কেউ হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২২ এপ্রিল একই জায়গায় (প্রায় ৫০গজের দূরত্ব) আনুমানিক বয়স ২৮ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
Sharing is caring!