সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রেমিকার শরীরের গোপন অংশে মেহেন্দি দিয়ে লেখা দুটি ফোন নম্বর! সেই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। ফাঁস হয়ে গেল নির্মমভাবে স্টোনম্যানের কায়দায় খুনের চক্রীদের আসল চেহারা। ফাঁস হয়ে গেল খুনের মোটিভও। অনার-কিলিংয়ের শিকার বিহারের তরুণীর বাবা-দাদা ধরা পড়ে গেল অবশেষে।
প্রেমিকার শরীরের গোপন অংশে মেহেন্দি দিয়ে লেখা ফোন নম্বর, খসে পড়ল প্রিয়জনের মুখোশ
বাবা-দাদার সঙ্গে গাড়িতে করে কলকাতা থেকে বর্ধমান যাওয়ার পথেই তরুণী বুঝতে পেরেছিল, সে খুন হতে পারে। সেইজন্যই মেহেন্দি করার অছিলায় উরুতে লিখে রাখে দুটি নম্বর। সে চেয়েছিল, তাকে যদি প্রেমের অপরাধে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেই হয়, তার খুনিরা যেন শাস্তি পায়। অবশেষে তরুণী খুনের কিনারা হল ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই।
কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন যুবতীর বাবা মহম্মদ মুস্তাক ও দাদা জাহিদ। বিহারের মুজফফরপুরে তাদের বাড়ি। একই গ্রামের বাসিন্দা করণ রামকে ভালোবেসেছিল জেহানা খাতুন। দুজনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারা চেয়েছিল বিয়ে করতে। কিন্তু জেহানার বাড়ি থেকে ছিল প্রবল আপত্তি। আপত্তি অগ্রাহ্য করেই করণের সঙ্গে একবার নাগপুরে চলে যায় জেহানা।
এরপর জোর করেই করণের হাত থেকে জেহানাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে তার বাবা ও দাদা। এরপর জেহানাকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন তারা। জেহানাকে বোঝাতে তাকে, করনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য। কিন্তু নাছোড়বান্দা জেহানা। সে তার ভালোবাসাকে হারাতে চায়নি। তাই বাবা-দাদার কথা অমান্য করেই করণের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখে জেহানা।
তারই মাশুল গুণতে হল তাকে। ৩১ অগাস্ট ঘটে গেল নির্মম ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর দেহ। ময়নাতদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে মৃত তরুণীর উরুতে মেহেন্দি দিয়ে লেখা দুটি ফোন নম্বর। সেই ফোনের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পারে, ওই ফোন নম্বরের একটি মহারাষ্ট্রে থাকা যুবক করণ রামের। সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। করণের সঙ্গে জেহানার সম্পর্কের কথা জানতে পারে পুলিশ। তদন্তের সূত্র ধরেই পার্কসার্কাসে থাকা বাবা মহম্মদ মুস্তাক ও দাদা জাহিদকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জেরায় দুজনেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয় বলে দাবি পুলিশের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd