ছাতক প্রতিনিধি :: দৈনিক যুগান্তরের ছাতক উপজেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন রনির বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের দায়ের করা চাঁদা দাবির মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেফতার নিয়ে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের ডাকা মানববন্ধন পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে স্থগিত করে আলোচনার ভিত্তিতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকাল ৩টায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খানের সাথে তাঁর কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল। ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময়কালে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনার পর সৃষ্ট জটিলতার বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক বিজন সেন রায় এবং সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু।
সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাংবাদিক রনির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা দায়ের ও তাকে গ্রেফতারের কারণে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এই ভুল বুঝাবুঝি দূর করতে উদ্যোগ দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সাংবাদিকদের আহ্বানে রনির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘সহজে’ নিষ্পত্তি করা হবে বলে আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার।
পুলিশের পক্ষে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী, বেলায়েত হোসেন, সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ, ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান প্রমুখ।
সাংবাদিকদের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মাসুম হেলাল, জনকণ্ঠ প্রতিনিধি ইমরানুল হক চৌধুরী, দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়ের সম্পাদক সেলিম আহমদ তালুকদার, সময় টিভির প্রতিনিধি হিমাদ্রী শেখর ভদ্র, যমুনা টিভি প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান তারেক, ডিবিসি প্রতিনিধি মো. আমিনুল ইসলাম, ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হেলালী, সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন আহমেদ, আলাউদ্দিন, মাসুক মিয়া, শামসুল কাদির মিছবাহ, আমিনুল ইসলাম হিরণ, শহীদনূর আহমেদ, আশিষ রহমান, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা পত্রিকায় ‘ছাতকে ট্রাফিক পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ জন্য সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন রনিকে দায়ি করে ট্রাফিক পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর ছাতক ট্রাফিক শাখার টিএসআই মো. মোস্তফা কামালসহ তিন পুলিশ সদস্য বাদি হয়ে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন রনির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দ-বিধির ৩৮৫ ও ৫০৬ ধারায় একটি চাঁদা দাবির একটি মামলা (নং ০৭/২৫০) দায়ের করলে দিনগত রাত আড়াইটায় তার গ্রামের বাড়ি ছাতক উপজেলার আলমপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Sharing is caring!