সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :: শিক্ষকের জন্য সমাজ জাতির কেবল ক্ষতি হয় না বরং দেশের ইমেজ বিদেশে নষ্ট হয়। এ ধরনের ঘৃণিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। ধামাচাপা দিলে সেটি হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি কেবল নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে। দু’জন অথচ মুষ্টিমেয় শিক্ষকের কারণে দেশের সম্মানহানি ঘটে এবং বর্তমান সরকারের সদিচ্ছাকে তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রয়োগ করে থাকে। তেমনি এক জামাত নেতা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া হায়দরিয়া দাখিল মাদ্র্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ কামরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় অনিয়ম,দূর্নীর্তি ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ। গত বৎসরের ২০ ডিসেম্ভর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। হায়দরিয়া দাখিল মাদ্র্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রুহুল আমিনের স্বাক্ষরিত অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের অনিয়ম,দূর্নীর্তি ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। অভিযোগটি বর্তমানে সুনামগঞ্জ দিরাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেনের কাছে তদন্তধীন রয়েছে।
ভাটিপাড়াস্থ এলাকার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী দ্বীনিও এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান হচ্ছে হায়দরিয়া দাখিল মাদ্র্রাসা। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্টার পর হইতে বিগত ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সহিত নিজস্ব ঐতিহ্য বজায় রাখিয়া পরিচালিত হইছিল। কিন্তু ২৯ জানুয়ারী ১৯৯৫ সালে সুপারিটেনডেন্ট পদে কামরুল ইসলামকে যোগদানের পর থেকে দুনির্তিও মহা ছোবলে আক্রান্ত হয়ে ২৩ বৎসরে মাদ্রাসা বর্তমানে ধ্বশের পথে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কামরুল ইসলাম মাদ্রসায় যোগদানের পর থেকে সে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিয়ে ভাবছে কি ভাবে সবলম্বি হওয়া যায়। তার দ্বারা বাহিতায় সম্প্রতি প্রথমেই তার স্ত্রী রিপা আক্তারকে ক্ষমতার বলে অবৈধ ভাবে সহকর্মী হতে ইসলামী শিক্ষিকা পদে নিযোগ দেন। এর পর থেকেই শুরু হয় স্ত্রী বেতন বাণিজ্য প্রতি বসরে মাতৃকালীন ছুটির কথা বলে চাকুরীতে উপস্থিত না থেকেই বেতন ভোগ করা। এসকল কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে কামরুলের ২৩ বসর পার।
সূত্রে জানায়, কামরুল ইসলামের ক্ষমতার মাদ্রাসা প্রতিষ্টানের যা দুনির্তি করেছেন, প্রায় ২৭ কেদার জমির আয় উন্নতির কোন হিসাব নেই। প্রতি বছর ছাত্রদের জন্য সরকার প্রদত্ত উপবৃত্তির লক্ষ লক্ষ টাকা ছত্রদের না দিয়ে সিংহভাগ টকিয়ি নিজের পকেট ভরাট করছেন। অস্থায়ী ভাবে শিক্ষক নিযোগ দেন, অথচ সেই শিক্ষকদের বেতনের টাকা দিয়ে নিজের ঘরের রঙ্গিন টেলিভিশ ও দামী ফ্রীজ কিনেন। প্রতিষ্টানটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়ছেএসই দিকে তাহার কোন খেয়াল নেই,কিন্ত মেরামত দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেন এবং সেই টাকার ও কোন হিসাব নেই। প্রায় দীর্ঘ কয়েক বসর যাবত মাদ্রাসাটি বোর্ড রেজিষ্টারীর আওতায় নেই বলে অভিযোগ প্রকাশ। এমনকি সুপার নিজে সামে ১৫ দিন অনুপস্থিত থাকেন। মাদ্রসা সুপার কামরুল ইসলামের মামা মাহবুবুর রহমানকে সহকারী শিক্ষক হিসাবে এবং রুহুল আমিনকে দপ্তরী পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে শাপলা সংঘের চ্যালেঞ্জসহ জডালো প্রতিবাদেও ভিত্তিতে তাহা বাতিল বলে গণ্য হয়। মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক ইমাম উদ্দিনের অনুসন্ধানী রিপোর্টের কারণে সুপার কর্তৃক ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিযোগ প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মতিন পালিয়ে যায়। ছাত্রদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও অসৎ উপায়ে দাখিল পাসের সনদ সহ বিভিন্ন রকমের জ্বালিয়াতী ব্যবসা। মাদ্রাসা সুপার কামরুলের এমন দূনির্তিও কারনে হারিয়ে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান হারিয়েছে এলাকার ঐতিহ্য এই প্রতিষ্টানে সুনাম।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম জানান, এ অভিযোগের তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও জানান দেলোয়ার হোসেনের তদন্তে কোন ধরনের দূর্ভলতা থাকলে আমি নিজে তদন্ত করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এদিকে দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, এই দূর্নীতিবাজ সুপার কামরুলকে মাদ্রসা থেকে বহিস্কার করা হোক বলে এমন দাবী করেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd