সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: ছেলেদের ফুটবলের হতাশা না কাটতেই সম্ভাবনা নিয়ে হাজির আবার মেয়েদের ফুটবল। সেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল গত বছর যে টুর্নামেন্টের মূল পর্বে খেলে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা। সেই টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্ব আজ ঢাকায় শুরু হচ্ছে। এফ গ্রুপের এই খেলায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বাহরাইন, লেবানন, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হলেও এবার হবে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। নিজেদের চেনা মাঠে গোলাম রব্বানী ছোটন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘গত ডিসেম্বর থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। মাঝখানে তিনটি টুর্নামেন্ট খেলেছি, একটিতে চ্যাম্পিয়ন ও অন্যটিতে রানার্স-আপ। ভুলত্রুটিগুলো নিয়ে নিয়মিত কাজ হচ্ছে। আমরা ভালোভাবেই প্রস্তুতি পর্ব শেষ করেছি। এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই আমরা।’
বাংলাদেশ চারটি ম্যাচ খেলবে। ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে এক দিন বিরতি দিয়ে যথাক্রমে বাহরাইন, লেবানন, আরব আমিরাত ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলবে। এই দলটি টানা খেলার মধ্যে আছে, সুবাদে তাদের জন্য নতুন কোনো লড়াই এমন কঠিন ব্যাপার নয়। স্কোয়াডে আগের দলের ১২ জন আছে, বাকিরা নতুন যোগ হয়েছে। কয়েকটি দল র্যাংকিংয়ে ওপরের দিকে থাকলে এই দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার চোখে এটা বড় ব্যবধান নয়, ‘বাকি চারটা দলই শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের খেলা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তিনটা দল র্যাংকিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলা হবে অন্য রকম। লক্ষ্য থাকবে পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করা।’ গতবারের চেয়ে এই টুর্নামেন্টের ধরন একটু ভিন্ন। আগে একটি বাছাই পর্ব খেলেই মূল পর্বে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তার আগে আরেকটি ধাপ আছে। প্রথম পর্বের ছয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা দুই রানার্স-আপ দল খেলবে দ্বিতীয় পর্বে। সেখানকার চার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে যোগ হবে উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড।
গত বছরও থাইল্যান্ডে মূল পর্ব খেলেছিল বাংলাদেশ। ওখানে দেশের মহিলা ফুটবল প্রথমবারের মতো এশিয়ার সেরা শক্তিগুলোর মুখোমুখি হয় এবং প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। ‘থাইল্যান্ডে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলেছিলাম এবং টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে আমাদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও তত ভালো হয়েছে। আমার বিশ্বাস, সেই পারফরম্যান্সের চেয়ে এবার তারা অনেক ভালো খেলবে।’ কয়েকজন খেলোয়াড় বয়সের কারণে বাদ পড়লেও তাদের জায়গা পূরণ করতে চলে আসা শামসুন্নাহার জুনিয়র, ঋতুপর্ণা চাকমা, সাজেদা আক্তারসহ কয়েকজনকে পাওয়া গেছে যুব বাংলাদেশ গেমস থেকে।
প্রতিপক্ষ নিয়েও খুব দুশ্চিন্তা নেই গোলাম রব্বানী ছোটনের। বাংলাদেশের এই কোচের বিশ্লেষণে, ‘ভিয়েতনাম, লেবানন ও বাহরাইন শক্তিশালী। ২০২৪ সালে আমরা আমিরাতের সঙ্গে দুটো ম্যাচ খেলেছিলাম এবং দুটোয় জিতেছি। এর পরও বলি, কাউকে খাটো করার কিছু নেই। তারাও উন্নতি করতে পারে, সবাই প্র্যাকটিসের মধ্যে ছিল। তাই নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলতে হবে। আমাদের সুবিধা হলো, দলটা একসঙ্গেই ছিল এবং ২৩ জনেরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’ ইদানীং ছেলেদের সঙ্গে তুলনা করলে মেয়েদের ফুটবল অনেক ভরসার। সুতরাং কিশোরীদের পায়ে ফুটবল আবার ঢাকা মাতাবে। দেবে নতুন সুখবর।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd