গৃহবধু সাদিয়াকে এলোপাতারীভাবে কিল ঘুষি ও লাতি মারার কারনে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম হয়। পরে স্বজনরা তাকে অচেতন অবস্থায় গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সাদিয়া বেগম তার স্বজনদের সাথে নিয়ে নিজে বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিত গৃহবধু বলেন, ‘বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ভাসুর তৈয়বুর রহমান (২৫) ও দেবর হাবিবুর রহমান (১৮) মিলে আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেন।
নির্যাতিত তরুণীর ভাই বলেন, বিয়ে দিয়েছিলাম বোন সুখে ঘর করবে বলে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের নির্যাতন সইতে হচ্ছে। কিন্তু ১১/০৯/১৮ইং সন্ধা ৭টায় প্রতিবারের ন্যায় আবারও সাদিয়াকে গালিগালাজ করেন। পরে একপর্যায় তারা অত্নসত্বা সাদিয়াকে এলপাতারীভাবে কিল ঘুষি ও লাদি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্হানে নীলাফোলা জখম করে। এভাবে তারা ঐ গৃহবধু সাদিয়াকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। তাছাড়া এভাবে মারধরের কারনে অত্নসত্ত্বা সাদিয়ার পেটে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।
স্বজনদের দাবী এই অমানবিক নির্যাতনের সুষ্ট বিচার।