আদালতের রায় অমান্য করে সালেহ আহমদের বিরুদ্ধে ভূমি বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

আদালতের রায় অমান্য করে সালেহ আহমদের বিরুদ্ধে ভূমি বিক্রির অভিযোগ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং ইপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সালেহ আহমদ চৌধূরীর বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমন সিলেট সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বসবাসকারী উক্ত সালেহ আহমদ সিলেট জেলার চিহ্নিত ভূমি জালিয়াত চক্রের সাথে যোগ দিয়ে নিরীহ মানুষের জমিজমা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, রেজিষ্ট্রারীবিহীন দলিল দিয়ে ভূমি জালিয়াতি করে অন্যের সম্পত্তি আত্মসাতের ৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরী করে খাদিমপাড়ায় এসএ ৩৫২ খতিয়ানের দাগের ১০৫/১০৬’র ২০২ শতক ভূমি গ্রাস করে নেওয়ারও গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ভূমির প্রকৃত মালিক আকরম আলী ও আরব আলীর রেকর্ডভূক্ত ভূমি গ্রাস করতে মাত্র দুইপাতার একটি দলিল সৃজন করে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।

ভুক্তভোগীরা জানান, উক্ত মামলায় বিবাদী করা হয় আকরম আলীর ছেলে ফয়ছল উদ্দিনকে। পরে অপর এক ব্যক্তিকে ফয়ছল সাজিয়ে আদালতকে ধোকা দিয়ে একটি আপোষনামার মাধ্যমে নিজের পক্ষে মামলাটি রায় নেন তিনি। আদালতে দাখিলকৃত সোলেনামায় পরিচয়কারীসহ ৮ জনকে স্বাক্ষিও করা হয়।

কিন্তু এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে স্বাক্ষিদের স্পষ্ট বক্তব্য।

ভূমি জালিয়াতির খবর পেয়ে প্রকৃত মালিক ফয়ছল উদ্দিনগং সালেহ আহমদ চৌধূরী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিলেট সিএমএম আদালতে একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন, যার নং- জিআর ১৩৪/২০১৭ইং। রায় ও সত্য ঘোষণা করার জন্য ফয়ছল আবারও জেলা যুগ্মজজ ২য় আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন, যার নং- ১০১/২০১৭ইং।

ফয়ছলের অভিযোগ, উক্ত ভূমি নিয়ে সালেহ আহমদ আবারও মিথ্যার আশ্রয় নিতে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় টিলাগড়ের তাজ উদ্দিন খানের ছেলে রোকন উদ্দিনগংদের। মামলা নং- সিআর ৪০৪/২০১৭।

কিন্তু দীর্ঘ তদন্তের পর মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে সালেহ আহমদ নারাজি দিলে মামলাটি পিআইবি তদন্ত করে। তাদের তদন্তে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। মামলা তদন্তকালীন সময়ে ১৯৬১ সনের রেজিষ্ট্রারীবিহীন একখানা হাতে লেখা দলিলের ফটোকপি পুলিশের কাছে হাজির করেন সালেহ আহমদ। উক্ত কাগজাটও তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়।

এদিকে, ২৬ জুন উক্ত ভূমির প্রকৃত মালিকের আর্জির প্রেক্ষিতে আদালত একটি নির্দেশ প্রদান করেন যে- উক্ত মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় কেউ মামলা সংক্রান্ত ভূমি বিক্রি হস্তান্তর কিংবা খানাখন্দক সৃষ্টি করতে পারবেন না।

কিন্তু আদালতের এই নির্দেশের পরও পূর্বে জালিয়াতি করে নেওয়া একটি রায়ের কপিকে পুঁজি করে সালেহ আহমদ চৌধূরী বিভিন্ন লোকের কাছে মামলাকৃত ভূমি বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..