সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। এরা লঘু অপরাধে কারাভোগ করছিলেন। রবিবার বিকেলে তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। বাংলাদেশে একইদিনে কোন কারাগার থেকে এতো বিপুল সংখ্যক কয়েদির মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর উদ্যোগ অনুসারে, যারা ছোটখাটো তথা লঘু অপরাধ করে কারাগারে আছেন, তারা যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভালো পথে চলার অঙ্গিকার করেন, তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রথম বাস্তবায়ন ঘটলো সিলেটে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, লঘু অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে গতকাল সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মেট্রো আইনে, চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গিকার করেন। আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। কিছু আসামির সাজার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে এসব কয়েদির মুক্তি পাওয়ার আগে সিলেট কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই ১৪২ আসামি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আদালত তাদেরকে জামিন প্রদান করেন। অনেকে মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশে এই প্রথম কোন কারাগারের এতোজন আসামি একসাথে জামিন লাভ করলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ আছে মানবিক দিক বিবেচনা করে লঘু অপরাধের সাথে জড়িতদের জামিন প্রদানের বিষয়ে। তাঁর মতে, লঘু অপরাধে কারাগারে থাকা হাজতিরা ব্যক্তি জীবনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, তার পরিবার ভোগান্তি পোহায়। এজন্য তিনি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব ব্যক্তিদের জামিনের পক্ষে। তাঁর সে উদ্যোগেরই বাস্তবায়ন ঘটলো সিলেটে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd