কমলগঞ্জে একই পরিবারে দুই বিরল রোগী বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দাবি

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮

কমলগঞ্জে একই পরিবারে দুই বিরল রোগী বিত্তবানদের এগিয়ে আসার দাবি

মোঃ মালিক মিয়া কমলগঞ্জ :: কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল তিলকপুর গ্রামের। এক অসহায় ফকরুল ইসলাম কোনো সুচিকিৎসা করা”তে পারছেন না তাদের। ভালো কোনো ডাক্তারও দেখাতে পারেননি। একদিকে রোগের যন্ত্রণা অন্যদিকে সংসারের র অনটনে চিকিৎসার অভাবে যেন তাঁরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬ ভাই-বোনের মধ্যে ২য় সিরাজুছ ও রিমা ৩য়। ৬ জনের মধ্যে দুজনই বিরল রোগে আক্রান্ত আর ৪ জন সুস্থ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাদের বাবা মো. ফকরুল ইসলাম (৫০)। কৃষিকাজ করে ৮ জনের সংসার চালানো তার পক্ষে খুবই কষ্টকর। এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা পায়নি এই অসহায় পরিবার।

প্রথমে সিরাজুছের মুখে একটি ক্ষতচিহ্ন ও সাদা সাদা দাগ দেখা যায়। পরে তা মারাত্মক রূপ ধারণ করে এবং সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সে তরল জাতীয় খাদ্য ছাড়া কিছুই খেতে পারে না। রিমার শরীরে ও মুখে প্রথমে কিছু সাদা সাদা দাগ ছিল । পরে তা পুরো মুখে ও শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক কালো রূপ ধারণ করে। এখন সে আলোতে ঠিকমতো তাকাতে পারে না। তখন স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা রোগটি সনাক্ত করতে পারেনি।

স্থানীয়দের পরামর্শে পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ডাক্তাররা সঠিক রোগটি সনাক্ত করতে না পারায় এবং সুনির্দিষ কিছু না বলায় রোগাক্রান্ত ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন বাবা ফকরুল ইসলাম। এখন মা শিরী বেগম (৪২) ও বড় ভাই শামসুল আরেফিন (২৩) তাদের দেখাশুনা করেন।

এ বিষয়ে রোগাক্রান্ত ছেলেমেয়ের বাবা মো. ফকরুল ইসলাম (আফরুজ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অসহায়ের মত কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ছেলেমেয়েদের চিকিৎসার প্রধান সমস্যা অর্থনৈতিক বাঁধা। অভাবের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমতাবস্থায় নিজের চোখের সামনে ছেলেমেয়ের আর্তনাদ দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই তার। এ বিষয়ে বিরল রোগে আক্রান্ত সিরাজুস সালেকিন এর বাবা ফখরুল ইসলাম আফরোজ আরো বলেন চিকিৎসার জন্য প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লাগে এই দুইজনের। উনি বলেন বর্তমানে সিলেটের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার হাসিব রহমানের অধীনে চিকিৎসায় ছিল উনার ছেলে ও মেয়ে। তবে বর্তমানের রোগটি ব্যাপক আকার ধারণ করায় সার্জারি বিভাগের ডাক্তার হাসিব রহমান বলেছেন এখন উনার দ্বারা আর চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তার পরেও উক্ত বিরল রোগের বাবা আফরোজ এই প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেছেন সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে হয়তো ভালো চিকিৎসার মাধ্যমে আমার ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠত। আফরোজ আরো বলেন এই দুই জনের পেছনে এই পর্যন্ত প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে যোগাযোগের জন্য এই মোবাইল নাম্বার দিয়ে উনি বলেন 01731-381365 আমি এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাইছি

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..